আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ মার্চ, ২০১৮

রোহিঙ্গা সহায়তায় প্রয়োজন ৯৫ কোটি ১০ লাখ ডলার

এনজিওদের কাছে জাতিসংঘের আবেদন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গার সহায়তায় দ্রুত ৯৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে এক আবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। জয়েন্ট রেস্পন্স প্ল্যান (জেআরপি)-এর আওতায় এই সহায়তার মধ্যে রয়েছেন ওই অঞ্চলের তিন লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশিও।

জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, সমুদ্র ও স্থল পথ দিয়ে মাসজুড়ে রোহিঙ্গাদের ঢল আসার পর থেকে এই পর্যন্ত এটি বিশ্বের সবচেয়ে কম সময়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া বড় শরণার্থী সংকট। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় ছয় লাখ ৭১ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার এবং দেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের জন্য উদারতা ও আশ্রয় সহায়তা দিয়েছে।

প্রায় সাত মাস রোহিঙ্গা আসা অব্যাহত থাকে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট ঘণীভূত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কুতুপালং-বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির, যেখানে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, এই ক্যাম্পকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শরণার্থী ক্যাম্প হিসেবে মনে করছে। প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বন্যা ও ভূমি ধসের মতো ঝুকিতে রয়েছে এবং এ অবস্থায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, আইওএম মহাপরিচালক উইলিয়াম সুইং এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সিপ্পো জেনেভায় রোহিঙ্গা সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে জাতিসংঘের ১০০’র বেশি সংস্থা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এনজিওগুলোকে একত্রিত করতে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট ২০১৮ আবেদন করেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য, যারা উদারতার সঙ্গে তাদের দরজা খুলে দিয়েছে এবং আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা উভয় পক্ষের সংকটকালীন প্রয়োজনীয়তা নিয়েই কথা বলছি। তিনি বলেন, এই সংকটের সমাধান মিয়ানমারের কাছেই রয়েছে এবং পরিস্থিতি অবশ্যই স্বাভাবিক করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিজ ফিরে যেতে পারে। তবে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি এবং এর পরিমাণ অনেক।

২০১৮ সালের শেষনাগাদ রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের পরিবেশগত টেকসই সমাধান, বিশ্বাস স্থাপন এবং আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাৎক্ষণিকভাবে এই সহায়তা আবেদন জানানো হয়। এর মধ্যে আগামী মাসগুলোতে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা আসার সম্ভাবনা অনুযায়ী, পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাহায্যের আবেদনের মধ্যে ৫৪ শতাংশ প্রয়োজন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, সেনিটেশন, সেল্টারসহ অন্যান্য মৌলিক সহায়তার জন্য। আর খাদ্য চাহিদাই মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি একটি তীব্র মানবিক সংকট যেখানে জীবন রক্ষার্থে দ্রুত অর্থ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রয়োজন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকৃত চাহিদার ৭৪ শতাংশ (৪৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডরারের মধ্যে ৩২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার) পাওয়া গেছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোহিঙ্গা,জাতিসংঘ,রোহিঙ্গা সহায়তা,ইউএনএইচসিআর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist