বেঁচে আছেন নেপালি দুই মেডিকেল শিক্ষার্থী
নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলায় থাকা ১৩ নেপালি মেডিকেল শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন জীবিত আছেন। সোমবার ওই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছিল তারা ১৩ জনই নিহত হয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) কর্তৃপক্ষ আহত ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানেই এটি জানা গেছে। খবর মাই রিপাবলিকার।
বেঁচে যাওয়া ওই দুই ছাত্রীর নাম হচ্ছে- পিন্সি দামি ও সামিনা বিয়ানজানকার।
ওই বিমানটিতে চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। বিমানটি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লে একটি ফুটবল খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। আহত হন আরও ২০ জন। পরে হতাহতের উদ্ধার করে স্থানীয় কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আটজন যাত্রীকে মৃতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে চারজন নারী ছিলেন, যাদের দুইজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আরও ছয়জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন যাদের মধ্যে চারজনই নারী। তাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি আর দুইজন নেপালি। আরও ১০ জন আহত ব্যক্তির মধ্যে চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর বাকি ছয়জন ছেড়ে দেয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব