reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ মার্চ, ২০১৮

স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছে ভারতে সুপ্রিম কোর্ট।

সেইসঙ্গে নাগরিকদের চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না মর্মে উইল করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে; আদালত যাকে ‘লিভিং উইল’ বলে বর্ণনা করেছে।

তবে কে বা কারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিতে পারবে সে বিষয়ে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়।

পিটিশনে বলা হয়, একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের উপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, এ কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা।

শুক্রবার ওই পিটিশনের রায়ের শুরুতে বলা হয় ‘মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার আছে’।

যদিও বিচারকরা এ ক্ষেত্রে চারটি আলাদা মত দিয়েছেন। তবে তারা সবাই ‘লিভিং উইল’ এর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে একমত হয়েছেন।

যদি ভবিষ্যতে কোমায় চলে গেলে কেউ আর বেঁচে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার জীবন টেনে নেওয়া উচিত না বলে আমাদের মত।

‘লিভিং উইল’ কার্যকরের ক্ষেত্রেও আদালত থেকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কে বা কারা লিভিং উইল কার্যকরের অনুমতি দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি ‘কোমায়’ চলে যাওয়ার পর কোনো রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে নাকি উঠবে না সে বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

আর যদি কোনো রোগী ‘লিভিং উইল’ করে না যান এবং চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নিরাময় অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন; কিন্তু রোগী নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত অবস্থায় না থাকেন তবে তার কোনো স্বজন উচ্চ আদালতে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। ওই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মেডিকেল বোর্ডকে তলব করে স্বেচ্ছা মৃত্যুর প্রয়োজনীয়তা জিজ্ঞাসা করবেন।

অরুণা শানবাগের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদনটি ছিল ভারতে এ ধরনের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

১৯৭৩ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অরুণা কোমায় চলে যান এবং ৪২ বছর পর ২০১৫ সালে তার মৃত্যু হয়।

২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অরুণাকে জোর করে খাওয়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

ভারতী দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যার চেষ্টার সাজা সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্বেচ্ছামৃত্যু,অনুমতি,ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist