reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ মার্চ, ২০১৮

এবার পাকিস্তান সিনেটে প্রথম হিন্দু দলিত নারী নির্বাচিত

অবশেষে ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণা কুমারি কোহলি। তিনি একজন দলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী সদস্য। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৯ বছর বয়সী কোহলি জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছে দৈনিক পাকিস্তান। গত মাসে বিলওয়াল ভূট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সিন্ধু আইন পরিষদের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ সিনেটের একটি আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়। তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে সিনেটর হিসেবে মনোয়ন পাওয়া দ্বিতীয় হিন্দু নারী। তার আগে রতœা ভগবানদাস চাওলা পাকিস্তান সিনেটের প্রথম হিন্দু নারী সিনেটর ছিলেন। পিপিপি থেকে নির্বাচিত সিনেটর হিসেবে চাওলা ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিন্ধু প্রদেশের প্রতিনিধত্ব করেছিলেন।

খবরে প্রকাশ, সিন্ধু প্রদেশের থর এলাকার নানগারপারকার গ্রামের বাসিন্দা কোহলি ১৯৭৯ সালে এক গরীব কৃষকের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন এক ভূস্বামীর পরিচালিত জেলে তাকে ৩ বছর বন্দি থাকতে হয়েছিল। সেখানে তার পরিবারের অন্যান্যরাও বন্দি ছিলেন এবং দাস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

১৬ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যান। পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একজন সামাজিক আন্দোলনকারী হিসেবে তিনি পিপিপিতে যোগ দেন। এরপর থরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। কৃষ্ণার ভাই ভীরজি কোহলি একজন নামকরা মানবাধিকার কর্মী। সিন্ধুর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে তিনি খ্যাতিমান হন।

পিপিপি-র এই নেতা এবং নানগারপারকার ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ভীরজি হায়দ্রাবাদের কারাগারে ১১ মাস থাকার পর শনিবার মুক্তি পান। কথিত মিথ্যা অভিযোগে ভীরজিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নিয়মিত আসনে একজন অমুসলিম দলিতকে সিনেটর নির্বাচিত করে পিপিপি। এভাবে কৃষ্ণা কোহলিসহ ছয়জন অমুসলিম বর্তমানে বিরোধী এই দলটি থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন।

মুসলমি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের ইতিহাসে এটাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব। কোহলির পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের বীর যোদ্ধা ছিলেন। তারা ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কৃষ্ণা একজন মানবাধিকার কর্মী, যিনি নারী অধিকার, দাস শ্রম এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনেস্তা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাকিস্তান সিনেট,হিন্দু দলিত নারী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist