সরকারি বাহিনীর হামলা
সিরিয়ায় ১৩ দিনে নিহত ৬৭৪
রুশ বাহিনীর সহায়তায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ঘৌতা এলাকায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় ১৩ দিনে অন্তত ৬৭৪ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও এই হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর পূর্ব ঘৌতায় অন্তত চার লাখ মানুষ আটকা পড়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ থাকলেও গত শনিবার হামলা বন্ধের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে বিতর্কিত একতরফা যুদ্ধবিরতির কারণে মানবিক ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। হামলার কারণে ত্রাণ ভর্তি ৪০টিরও বেশি ট্রাক অবরুদ্ধ এ অঞ্চলে বসবাস করা চার লাখ লোকের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে অস্ত্রবিরতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘ নতুন করে আহবান জানিয়েছে।
এদিকে সোমবার মস্কো দিনে পাঁচ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়ায় বোমাবর্ষণ অনেকটা কমে এসেছে। এর আগে মাত্র কয়েকদিনের বোমাবর্ষণে কয়েক শ লোক নিহত হয়। এতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চল বেসামরিক লোকজনকে চলে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাশিয়ার প্রস্তাবিত একটি করিডোর ব্যবস্থা তৃতীয় দিনের মতো উম্মুক্ত রাখলেও আপাতদৃষ্টিতে তেমন লোককে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে না।
ঘৌতা দখলে নিলেই সিরিয়া হবে আসাদের, সে কারণেই অন্ধ হামলা : টানা ছয় বছর পর অবশেষে সিরিয়ায় জয়ের মুখ দেখছে বাশার বাহিনী। আর মাত্র একটি ঘাঁটি বাকি। রাজধানী দামেস্ক থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের পূর্ব ঘৌতা অঞ্চল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর শক্তিশালী এ ঘাঁটি দখলে আনতে পারলেই সিরিয়া আবার আসাদের হবে। আবার সেই আগের নিয়মে চলবে সিরিয়া। সে উদ্দেশ্য সফল করতেই এবার মরিয়া হয়ে উঠছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, গত মঙ্গলবার অস্ত্র বিরতি চলাকালীন সময় দৌমা ও হারাস্তা এলাকায় সিরিয়ার জঙ্গি বিমান থেকে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। দৌমায় এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ঘৌতা শহরের পূর্ব অংশ সরকার ও রুশ বিমান হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে নিরীহ শিশুসহ অনেক নাগরিকের। সরকারি বাহিনী ও তার মিত্রদের বিমান হামলায় আটকে পড়েছে স্থানীয়রা।
পিডিএসও/তাজ