reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পরও সিরিয়ায় হামলা

বোমা বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা

শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেও বিদ্রোহী অধ্যূষিত অঞ্চলে সেনা আক্রমণ চালিয়েছে সিরিয়া। রাজধানী দামাস্কের পার্শ্ববর্তী পূর্ব ঘুটায় গত এক সপ্তাহে সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর বোমা হামলায় ৫০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রোববার যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে সিরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে ফ্রান্স ও জার্মানি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোন-আলাপে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। তবে যুদ্ধবিরতির সমেঝাতা অনুযায়ী, জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে পারবে সিরিয় ও রুশ সেনাবাহিনী।

শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কয়েক ঘন্টা পরই বিদ্রোহী অধ্যূষিত এলাকায় আক্রমণ চালায় সিরিয় সরকারি বাহিনী। ত্রাণ সংস্থা সিরিয়ান অ্যামেরিকান মেডিক্যাল সোসাইটি জানায়, তাদের একটি হাসপাতালে আসা রোগীদের উপসর্গ দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে, এখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

পূর্ব ঘুটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে সিরিয় সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে রোববার জানানো হয় সরকারি ও বিদ্রোহী পক্ষ থেকে। এরমধ্যে ইরান জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে সম্মান করবে, তবে যুদ্ধবিরতির আওতার বাইরে থাকা অঞ্চলে জঙ্গীগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখবে তারা। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান সমর্থক ইরান ও রাশিয়া।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরিয়া,যুদ্ধবিরতি,বোমা হামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist