চীনে হাতির দাঁতের ব্যবসা পুরোপুরি নিষিদ্ধ
চীনে নতুন বছর ২০১৮ সালের শুরু থেকেই পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে হাতির দাঁত। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর থেকে তৈরি পণ্যের বেচা-কেনা। এতদিন চীন ছিল হাতির দাঁতের পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোর অন্যতম।
পৃথিবীতে হাতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। চীনে হাতির দাঁত এবং এ থেকে তৈরি পণ্যের বেচাকেনা নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয় গত বছর; আর তা কার্যকর হলো রোববার ২০১৭ সালের শেষ দিনে।
বন্যপ্রাণি রক্ষার আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রতি বছর চোরাশিকারীরা ৩০ হাজার আফ্রিকান হাতি হত্যা করে তাদের দাঁতের জন্য। তারা বলছেন, হাতির চোরাশিকার বন্ধের জন্য চীনের এই নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ। চীনের রাষ্ট্রীয় মাধ্যম বলছে, হাতির দাঁতের দাম ইতোমধ্যেই ৬৫ শতাংশ কমে গেছে।
আগে চীনে ঢোকার সময় হাতির দাঁত বা তার তৈরি সামগ্রী যত ধরা পড়তো—তার পরিমাণও কমে গেছে ৮০ শতাংশ। হাতির দাঁতের জিনিস তৈরির ৬৭টি কারখানা এবং দোকান বন্ধ হয়ে গেছে আগেই, আরও ১০৫টি রোববারের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবার কথা।
তবে একটি উদ্বেগের বিষয় এখনো আছে। চীনের এই নতুন আইনের আওতায় হংকং পড়বে না। হংকং হচ্ছে হাতির দাঁতের ব্যবসার একটি বড় কেন্দ্র এবং এর ক্রেতাদের অধিকাংশই চীনের মূলভূমির বাসিন্দা বলে মনে করা হয়। তবে হংকংও এই ব্যবসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য নিজস্বভাবে প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে হাতির দাঁতের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৯০ সালে।
পিডিএসও/হেলাল