রমিন মজুমদার

  ০৩ জুলাই, ২০১৯

ছোট গল্প

যে পথে আকাশ ছোঁয়

হোটেল রুম থেকে সমুদ্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে। বালুকাময় নোনা মাঠে জল ছোপ ছোপ চিহ্ন। সাদা, নীল ঢেউগুলো এলিয়ে দুলিয়ে সমুদ্র তীরে চুমু খেয়ে যাচ্ছে। আর আমি বিতৃষ্ণাময় মনে চিৎকার করে যাচ্ছি, রাত থেকে। নিঃশব্দে । সবার সামনে। এই জ্বালাময় খেলা শুরু হয়েছে, গত একবছর থেকে। কোনও কিছুতেই ক্ষত শুকাচ্ছে না। অনেক সময় মনে হচ্ছে, একটা বাইপাস সার্জারি করে নিয়ে আসি। বুক থেকে সমস্ত কষ্ট নিভিয়ে ফেলি। আবার মনে হয়, মগজের ভিতর দপ দপ করা সুখ বা দু:খ নামক সমস্ত স্মৃতি গুলোকে পুড়িয়ে ফেলি। একটা টাইম বোমা ব্রেনের মধ্যে ঢুকিয়ে নিজে নিজে সুইচ চাপ দিয়ে বাস্ট করি। কিন্তু না। সে কোনও কিছুতেই শান্তি দিবে না। সমস্ত কৌশল ব্যর্থ যখন, তখন নিজেকে পরাজিত সৈনিক ভাবতে শুরু করি। এবং নিজেকে শাস্তি দিতে শুরু করি। পুরো একটা অন্য পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বসবাস করছি, যেখানে একটা মাত্র রাজ্যে একমাত্র বসবাসরত একাকী মানুষ । মাঝে মাঝে না, প্রায় সব মুহূর্তেই নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। একবার ভাবি আমি ঠিক ছিলাম। এক বার ভাবি সে ঠিক ছিল। একবার ভাবি আমরা দুই জনেই ভুল ছিলাম। ছায়ার সাথে সম্পর্ক ভাঙার কষ্টে যখন এই ভাবেই দিনতিপাত করতে করতে জীবন্ত মৃত হওয়ার অভ্যাসে পরিণত হলাম। ঠিক তখনই কক্সবাজারে অফিসের প্রয়োজনে আসতে হলো।

একটা সময় সমুদ্রের কাছে যাওয়ার জন্য তীব্র বাসনা কাজ করতো। মনে হতো, আনন্দ মনে আনন্দ স্নান। বুক জুড়ে নোনা ঘ্রাণ। এখন সমুদ্রের প্রত্যেকটি ঢেউ নিঃশব্দের চিৎকার মনে হয় । ভয় লাগে। তবুও জীবন তো থেমে থাকা নয়। সময়ের সাথে সাথে গতিশীল। অফিসের কাজ খুব দ্রুতই শেষ হয়ে গেলো। ঢাকা থেকে বুধবার এসে শুক্রবার ফেরত যাওয়ার কথা। ভাবলাম, কত কাল আর পালিয়ে বেড়াবো। তার চেয়ে বরং, মরে যাওয়ার আগে আরেকবার বাঁচার চেষ্টা করি। তাই, সকাল সকাল একটা সিএনজি ভাড়া করে কক্সবাজার থেকে আরো দূরে নির্জন কোনও সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার প্লান করলাম। উদ্দেশ্য টেকনাফ। জুন মাস। প্রচণ্ড রোদ। ট্যুরিস্ট আসার জন্য অফ সীজন। তাই, টেকনাফবর্তী ইনানী বিচ পার হলে, লোকজনের সমাগম খুব কম থাকে। যত কম তত অবশ্য ভালো। নইলে, চানাচুর, বাদাম, ছবি তোলার লোক, ডাব ওয়ালাদের ভির সহ্য করতে হতো। ট্যাক্সিতে সকাল ১০ টায় রওয়ানা দিলাম। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ছুটছে। ভাড়া করা সিএনজি ট্যাক্সিটা। অসীম সুন্দর একটা পথ। এক পাশে ঢেউ ছুটানো উত্তাল সমুদ্র। আরেক পাশে আাঁকা বাকা পাহাড়। যতটা পথ যাচ্ছি। সমুদ্রের ঢেউ ততটাই হাত ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছে।

মাঝে মাঝে জেলেদের দাড় টানার দৃশ্য। সমুদ্র থেকে ফেরত আসা বড় বড় সাম্পান গুলোতে টাটকা মাছের গন্ধ। নুয়ে থাকা, নারিকেল গাছ গুলোর রোদেলা অভিবাদন এবং একটা ঘুম পাড়ানি সোজা পথ চলতে থাকা। গাড়ি সমান্তরাল ভাবে ছুটছে। শুধু ছুটছে।

এরই মধ্যে কখন যেন, অজান্তে আমিও স্মৃতির ফ্ল্যাশব্যাকের মতো জড়িয়ে যাচ্ছি, সব পুরাতন ঘটনাতে। মনে পড়ে যায়, ছায়া ও আমার বালুকা বেলায় হেঁটে বেড়ানো। ভাবতে থাকি, যখন আমরা গভীর ভাবে জলের স্নানে ডুবে ছিলাম। ভাবতে থাকি, অল্প অল্প মান অভিমানের যোগাযোগ সূত্রতা। ভাবতে থাকি, কত বার লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক দূরে নতুন নতুন জায়গায় চলে যাওয়া । কিছুক্ষনের জন্য মাঝে মাঝে ভাবনা ধাক্কা খায়। ড্রাইভার জিগেস করে,’ স্যার চা খাবেন?’

’হুম । খাবো। ওই গ্রামটার ধারে, চা দোকান টার কাছে গাড়ি দাড় করাও।’

’জ্বী। স্যার’।

চা খেতে গিয়ে মনে পড়ে। এই চা খাওয়ার সূত্রপাত ধরে পরিচয় পর্ব। দশ কাপ চা খাওয়ার আরোপিত শর্তে এগিয়ে চলার সম্পর্ক। যদি তা দশ কাপে থেমে থামে নি। এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, চা খাওয়া ছেড়ে দেই। মনে পড়ে, ওর চা খাওয়াটা অনেক সুন্দর ছিল।

বলতাম,’ চা টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো?

ছায়া বলতো, ‘আমি গরম চা খেতে পারি না । ঠান্ডা হলেই খাই। চা হতে হবে, কুসুম কুসুম গরম। নিচে ছোট ছোট আদা ভাসবে। পরিমান মতো চিনি থাকবে। চা’র রং টা হবে, সোনালী। হা হা।’

তখন আমি, ওর চা টুকু ফু ফু দিয়ে ঠান্ডা করে নিজে দুই চুমুক খেয়ে দিতাম। তার পর সে খেতো।

আমার ঠোঁটের স্পর্শে চা নাকি ঠান্ডা হয়ে যেত ‘

ড্রাইভারের নাম রবিউল। বাড়ি কক্সবাজার। সুন্দর করে চা নিয়ে এলো।

’স্যার। এই যে সাদা ধবধবে বীচ দেখতেছেন, ওই খান দিয়া মালয়েশিয়া গেছিলাম।’

মনে মনে ধাক্কা খাই। এই তীরে দাঁড়িয়ে দুই চোখ দিয়ে শুধু দূর আর দূর দেখা যায়। মনে মনে ভাবি ! কিভাবে মানুষ এক তীর থেকে আরেক তীরে যায় !

’কত দিন লেগেছিলো যেতে?

’স্যার, প্রায় নয় দিন। ‘

’কত জন ছিলে নৌকায়? এই সাম্পান গুলো দিয়ে গিয়েছিলে?’

’ জ্বী স্যার। প্রথমে এই সাম্পান গুলো দিয়ে আমাদের কে সমুদ্রের মধ্যে দাড়ায়া থাকা একটা বড় জাহাজে উঠায়া দিছিলো। আমরা এক সাথে দুইশো বিশ জন গাদা গাদি করে সেই জাহাজে উঠেছিলাম। জন প্রতি দুই লাখ টাকার চুক্তি। আমরা একই গ্রামের একই পাড়া থেকে সাত জন গেছিলাম। এর মধ্যে দুই জন মারা যায়।’

’মারা যায় মানে?

’স্যার। এ এক ভয়াবহ কষ্টের পথ।প্রথমে থাইল্যান্ডের এক জঙ্গলে তিন মাস রাখে। সেই নয় দিনের সমুদ্র পথে, আমাদের কে কোন খাওয়া দেয় নাই। যাও এক প্রকার এক বেলা খাওয়া দিতো, তা খেলে বমি লাগতো। তার উপর সমুদ্রের প্রচন্ড স্রোতের ধাক্কা। বমি করতে করতে, শরীর ফুলে উঠতো। কোন মানুষ মরে গেলে, শরীরের পচনের আগেই, জাহাজের দালাল সেই শরীর কে সাগরে ছুড়ে ফেলে দিতো। স্যার, মানুষ রে মানুষ ভাবে না তারা। আমরা তাদের কাছে একটা লেনদেন !’

’তার পর কি হলো?

’প্রায়, নয় দিন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে পৌঁছলাম। আমাগো মালয়েশিয়ার কাছাকাছি এক বর্ডার এলাকায় পাহাড়ে লুকাইয়া রাখলো। পাহাড়ের বড় বড় গাছের নিচে আমরা বইসা থাকতাম। এক বেলা খাইতে দিতো।’

’কি খেতে দিতো?

’ পাহাড়ের কুমড়া ও পাতা সিদ্ধ। হগলদিন প্রায় একই খাবার। তিন মাস টানা ছিলাম। যারা পুরো টাকা দিতো তাদেরকে মালয়শিয়া বর্ডার পার করে দিতো। আমারেও কইছিলো ! বাকি টাকা দিতে। আমি দিসিলাম, পন্চাশ হাজার। আর বাকী টাকা দিতে পারি নাই। পরে, আমারে থাইল্যান্ডের একটা শহরে ছাইড়া দেয়। ‘

’তারপর থাইল্যান্ড এ কি করলা?

’ যারা রোহিঙ্গা, মায়ানমারে থেইক্কা যায়। থাইল্যন্ড সরকার তাগোরে গ্রহন করে। আর যদি বুঝতে পারে, বাংলাদেশী, তাইলে জেলে পুইরা দেয়।’

’তোমাকে দিয়েছিলো?

’হ, স্যার। প্রায় ১৩ মাস জেলে ছিলাম। থাইল্যান্ডের যে শহরে দালাল রা আমাগো ছাইড়া দিছিলো, সেই শহর থেইক্কা পুলিশ আমাগো জেলে দিয়া দেয়।’

’জেল কেমন ছিলো?

’হেইডাও ছিলো, কষ্টের। প্রথম তিন মাস শুধু একটা রুমে আটকা রাখছিলো। খাওয়া দিতো। আর দিতে দম নেওয়ার স্বাধীনতা। পরে অবশ্য হাতের পায়ে বেড়ি খুইল্লা দিছিলো। আমরা জেলের কমপাউন্ডে ঘুরাফেরা করতে পারতাম। মাঝে মাঝে মনে হতো, পাহাড়ের জংল্গী চিপা চাপায় না খাইয়া, জেলের মধ্যে আছি, হেইডা অনেক ভালো। দালালদের কথা না মানলে, গুলি কইরা ম্যাইরা ফেলতো। আমার পরিচিত দুই জন কে মাইরা ফেলসে। তখন আমরা হাতে পায়ে ধইরা তাগোর দাফনের দিয়ে আইসি।’

’শেষ মেশ কিভাবে উদ্ধার হইলা’?

’আমি সহ প্রায় সাতশো জন লোক এই ভাবে থাইল্যান্ডে গেছিলাম। পুরাটাই একটা বড় নেটওয়ার্ক এর মধ্যে পাচার হইছিলাম। আমাগো যে ধইরা জেলে রাখছিলো, হে দেশের সরকার বাংলাদেশে জানাইছিলো। পরে বাংলাদেশ থেইক্যা বিভিন্ন এনজিও ও সরকার আমাগো ছুটাইয়া আনছে। গেছিলাম নৌকায় আইসে বিমানে । হে হে ।’

’এখন?

’স্যার আল্লাহ আমাগো আনছে। আমাগো বাচাঁর কোন আশা ছিলো না। এখন এই যে সিএনজি ট্যাক্সি চালাই। অহন নিজের দ্যেশে থাকি। অনেক ভালো আছি। আমার এখন দুই টা সিএনজি ট্যাক্সি। এক একটা আড়াই লাখ কইরা কিনছি। মাসে চল্লিশ হাজার ট্যহা পাই। বিয়া করছি। বউ পটিয়ার থানার মাইয়া। একটা বাচ্চা হইছে। নয় মাস বয়স। কন্যা সন্তান। নাম মালিহা। আমি এহন অনেক ভালো আছি।’

রবিউলের কথা ভাবতে থাকি। কি সুন্দর জীবনের সিদ্ধান্ত। প্রকৃতিই তাকে শিখিয়েছে। নিজের মাটিতে সুখে থাকার লড়াই। মানুষ যত উন্নতির পিছনে দৌড়াক না কেন, সুখ তো খুব সরল অনুভূতি। যে সুখী সে কুড়ে ঘরের মাটির লেপানো উঠানেই সুখী। সুখে থাকার জন্য আকাশ ছুতে হয় না। হয়তো, কিছু কিছু সরল পথ আছে, কেউ চাইলে সে পথেই হাটতে পারে।

’স্যার আমরা তো টেকনাফ চইল্লা আসছি। কই যাইবেন?

’চলো টেকনাথ শহরের মধ্যেখানে। সেখান মাথিনের কুপ দেখতে যাব’।

কিছুক্ষন পর মাথিনের কুপের সামনে চলে এলাম। টেকনাফের পুলিশ থানার ভিতর মাথিনের কুপ। মাহিনের কুপ খুব বিখ্যাত প্রেমের গল্প। ঘটনা টা এই রকম-

’বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, কলকাতার সুদর্শন পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্রাচায্য টেকনাফ থানায় চাকরি সূত্রে বদলি হয়ে আসেন। টেকনাফের মতো সমুদ্র ঘেষা এই ছোট শহরে কাজ কর্ম শেষে পুলিশ থানায় এক ছোট ঘরে বসবাস করতেন। এই থানার ভিতর ছিল, সেই এলাকার একমাত্র কুয়া। প্রতিদিন আশে পাশে রাখাইন তরুনী জল নিতে আসতেন। আর তরুন ও সুদর্শন ধীরাজ ভোর বেলায় তা দেখতেন। একদিন এক অতি সুন্দরী তরুনী যার চেহারা বাঙ্গালী চেহারার সাথে মিল, এই রকম এক তরুনী কে ভোর বেলায় দেখেন। যার নাম মাহিন এবং সে টেকনাফের জমিদার ওয়াথিনে একমাত্র মেয়ে। প্রথম দর্শনে মাথিন কে তার ভালো লেগে যায়। প্রতিদিন ভোর হওয়ার আগেই ধীরাজ থানার বারান্দার চেয়ারে গিয়ে বসতেন এবং মাহিনের জন্য প্রতিক্ষা করতেন। এই ভাবে আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে গভীর প্রনয় সৃস্টি হয় এবং লোক মুখে জানাজানি হয়ে যায়। অনেক বাধা বিপত্তির পর তাদের মধ্যে বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়।

এরই মধ্যে কলকাতা থেকে ধীরাজের বাবার চিঠি আসে। ধীরাজ কে কলকাতায় যেতে হবে। একমাসের ছুটি নিয়ে। যদি ছুটি না মিলে, তাহলে যেন চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়ে হলেও যেতে হবে। ধীরাজ সিদ্ধান্ত নেন, তিনি কলকাতায় যাবেন। তিনি তা মাথিন কে জানান। কিন্তু মাথিন রাজি হলেন না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েও ধীরাজ এক সন্ধ্যায় টেকনাফ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। ধীরাজের এই ভাবে চলে যাওয়াকে মাথিন মেনে নিতে পারে নি। মাথিন মনে মনে ভাবলেন, ধীরাজ বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। প্রান পুরুষ ধীরাজ কে হারিয়ে মাথিন অন্ন, জল ত্যাগ করে শয্যাশায়ী হন। জমিদার পরিবারের লোকজন শত চেষ্টা করেও মাথিন কে অন্ন জল ছোয়াতে পারেন নি। অবশেষে প্রেমের এই বিচ্ছেদ ও অতি কস্টে একদিন মাথিন মারা যান। আর সাক্ষী করে রেখে যায় , এই কুপ কে।’

কাহিনী শুনে মনে মনে ভাবলাম। এত দূরে এসে যতটা না নির্জনে থাকতে চেয়েছিলাম। মাথিনের কস্টের মৃত্যু আরো বেশি মনের মধ্যে কস্টের ছোয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন যেন আর টেকনাফে থাকতে ইচ্ছে করলো না। ড্রাইভার কে বললাম, গাড়ী ঘুরাও। চলো কক্সবাজারে দিকে।

মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম , আমার কথা , মাথিনের কথা, ছায়ার কথা। সব গুলো চিন্তার সাথে কেমন জানি এক গভীর মিল ! ভাবতে লাগলাম, ধীরাজের কথা। যিনি পরবর্তীতে পুলিশের চাকরি ছেড়ে কলকাতার বিখ্যাত সিনেমার নায়ক হয়েছিল। এই রকমই হয়, যারা কাউকে ছেড়ে চলে যায়, নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই যায়। ভালোবাসা কখনো তাদের ছোয় না। তারা সম্পর্ক করে, কিছু না কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে। তার পর উধাও হয়, কিছু না কিছুর কারন দেখিয়ে। পরবর্তীতে তারা অনেক উন্নতি করে। তবে সুখী হতে পারে না। কাউকে কষ্ট দিয়ে সুখী হওয়া যায় না। মনে মনে বলি, ছায়া তুমিও অনেক উন্নতি করো। জগ্ত বিখ্যাত হও। ভালো থেকো ।

গাড়ীর চাকা আবার চলতে শুরু করলো। গাড়ী থেকে হাত বের করে বাতাস কে ছুয়ে দেখলাম। বাতাসে অনেক ঠান্ডার পরশ। নাফ নদীর কাছ থেকে ছুটে আসা ধোয়াসা বাতাস যেন সবাই কে ছুয়ে দিচ্ছে, মাথিনের প্রেমের পরশ। বিচ্ছেদের কষ্টের বেদনা। পিচ ধালা মেরিন ড্রাইভ যেন সোজা পাহাড়ের পিঠ ঘেষে উঠে গেছে আকাশের গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের হাত ধরে। পাশ দিয়ে হেসে চলছে, নীল নীল স্বচ্ছ সমুদ্রের সময়ের স্রোত। আমিও সেই পথ দিয়ে ফিরে চলছি, ঘরের পথে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পথ,আকাশ,ছোঁয়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close