সাহিদা সাম্য লীনা, লেখক ও সাংবাদিক

  ০৪ মে, ২০১৯

অনুগল্প

দুজনের ভাবনায়

ভার্সিটিতে যাবার ক’দিন পরেই ইফসি অনলাইনে এক ছেলের প্রেমে পড়ে। প্রবাসে থাকে । তবে, ছেলেটা অসাধারণ। প্রথমে ওকে পাত্তা না দিলেও পরে ছেলেটার ব্যক্তিত্বে ইফসি গলে যায়। ভালো লাগা চার মাস, এরপর ভালোবাসা। দুজনের মুহূর্ত কেবল দুজনের ভাবনায় থাকে সারাক্ষণ। প্রায় একবছর পার হয়ে গেল ওদের প্রেমের। এর মধ্যে বহুবার ওদের ফোনে কথা এবং ভিডিও কলেও কথা হয়েছে।

তামিমকে এরই মধ্যে পরিবারের কথা জানায় ইফসি। ওর মা-বাবা জানলে তাকে যে বিয়ে দিবেনা ওর কাছে তাও বলে। তামিম ওকে বলে ভেব না। সব ঠিক হয়ে যাবে। সত্যি তামিমকে ওর ভীষণ ভালো লাগে এজন্য। ওর কথায় যেন যাদু! সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে দেখে।

কদিন বাদেই ভালোবাসা দিবস। এ নিয়ে ইফসির বন্ধুদের মাঝে উদ্দীপনা। ভিন্নভাবে এবার এই দিবসটা তারা পালন করবে। ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু নোরাসহ ইফসি শপিং-এ যায়। তামিম ওর জন্য টাকা পাঠিয়েছে। বলেছে তোমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব আমার টাকায় কিনবে। ইফসি নোরার সাথে কেনাকাটা করে আনে।

এর মধ্যে তামিম দেশে আসে। ইফসি জানেনা। মাঝে ২/৩ দিন ব্যস্ততা দেখিয়ে তামিম কথা বলা, চ্যাট বন্ধ রাখে। এটা যে সে দেশে আসছে ইফসিকে বুঝতে দেয় না। ভালোবাসা দিবসের ২ দিন আগে তামিম এসে হাজির। তাও জানেনা ইফসি। ভালোবাসা দিবসের দিন ইফসি নোরাকে সাথে নিয়ে ইউনির্ভাসিটিতে চলে যায়। আজ ভাসিটিতে অনুষ্ঠান। সারাদিন ঘুরাঘুরি, আনন্দ সেজেগুজে সবাই। ই্ফসি মোবাইলে তামিমকে নক করে। দেখে কতো ধরণের লাভ স্টিকার। ইমোতে কলও দেখে। কিন্তুি ব্যাগে মোবাইল এবং ইফসি বাইরে থাকায় দেখেনি। বিকেলে বাসায় ফেরে ইফসি। দরজা খুলে দেখে আম্মু। বলে দেখ কে এসেছে! ইফসি দেখে তামিমের মতো কেউ! ইফসি অবাক! কী করে সম্ভব! তামিম একটু কাছে এসে শুভেচ্ছা জানায়। বাড়িয়ে দেয় বিশাল এক ফুলের তোড়া। আম্মু বলে, তামিম ওর আব্বুর ক্লোজ বন্ধুর ছেলে। ইফসি এখনো মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে। মায়ের দিকে তাকাতে, তামিম বুঝতে পারে ইফসির এ অবস্থা। বলে ভেব না ইফসি, আমি আন্টিকে সব বলেছি। ইফসি মায়ের দিকে তাকায়; দেখে মা হাসছে। মা ওদেরকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়। তামিম হেসে বলে, কেমন চমক দিলাম বলতো! ইফসি মাথা নিচু করে লাজুক হাসি হাসে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দুজন,ভাবনায়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close