অদম্য যাত্রা | মীনা আক্তার মেঘলা
সমাজ, রাষ্ট্র তথা দেশ এমনকি বহির্বিশ্বে,
এখনো বেশ পিছিয়ে, গতির সঞ্চার করতে হবে
প্রতিবন্ধকতাই নতুন পথের সৃষ্টি করে,
সাথে নিয়ে ব্যাগ ভর্তি অশিক্ষা
তবুও বাঁচবার খুব ইচ্ছা।জীবন যৌবন দিয়ে, কতজনার সুখ দিলেম কিনে
অবশেষে পাইনি কিছু দিনলিপি গুনে,
পথে যা পেয়েছি, নিজেকে হারিয়ে
যেতে যেতেই তা বদলে দিলে।বিশ্ববিজেতা, পারনি জিততে মনটা
পালক পাখিদের শহর যেমন আমি আজও বন্দি তেমন
অন্য শহরে উড়ছো তুমি তোমার উড়ার ভীষণ গতি
পাতাঝরার মরশুমে উড়বো, তাই খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে
চিতার আগুনে পুড়ে শূন্যে দিলাম পা,
ভাবতে পারনি যা করে দেখাবো তা।আকাশের কাছে নেব বাড়ি, নির্জনে একাকী
আমার নোনাজল মৃত্যুর আগেই দিয়েছি মাটি
নৈঃশব্দে শুনলে নতুন পদধ্বনি
এই আমারে চিনতে পারবে কি?
জীবনে পড়েছে বহু অমানুষের ছায়া
সত্যিকারের মানুষগুলোও হয়েছে দেখা
চোখে একসমুদ্র শ্রাবণধারা,
নান্দনিক অশ্রু আমার শিখেনি হৃদয়কারা
মহাগ্রন্থ আল কোরআন, দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান;
জ্ঞানের ভারে ভুলে গেছো তা
গর্বিত আমি, সৃষ্টি করেছেন আমায় বিধাতা,
প্রচলিত ভুল আমার একটাই
খুঁজেছি কষ্ট লাঘবের সহজ উপায়
মুক্ত বাতাসের খোঁজে এবার যেতে হবে,
চোখে নিয়ে দুনিয়া লিখবো ফিরে আসার গল্পটা
ভিন্দেশি, বিভিন্ন ধর্মের আমরা অথবা রোহিঙ্গা তরুণী,
পেরিয়ে হিংসা আর নির্মমতার সীমারেখা,
বদলাবো হাওয়া, নিয়ে মাটিবর্তী সরলতা॥লেখক : শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
পিডিএসও/হেলাল