সাহিদা সাম্য লীনা, সাহিত্যিক

  ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

চাকরির প্রথম অভিজ্ঞতাটা নাকি আমিই শিখিয়েছিলাম!

চলার পথে অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই অনেকের মধ্যে কেউ থাকে, কেউবা আবার হারিয়ে যায়। গুটিকয়েকই ভাল একটা সম্পর্কে এসে একসময় উপনীত হয়। সে সম্পর্কেরও একটা নাম জুড়ে যায় একসময়।

আমার চলার পথেও এমন কিছু মানুষকে পেয়েছি যাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই অটুট। এমনি একটা বন্ধু, স্বজন, ভাই- যাই বলি না কেন আজ এমনই একজনের কথা বলছি। একটা টিউশনকে কেন্দ্র করে উনার সঙ্গে পরিচয়। তার আগেই আমার গৃহকর্তার সঙ্গেও টুকটাক পরিচয়; পরে সেটি জানতে পারি। এ জন্য আরো একটা ভরসা এবং বোঝাপোড়া গড়ে আমাদের মধ্যে।

যথেষ্ট সম্মান, কথার শৈল্পিকতায় অচিরে আমার ও আমার বাচ্চাদের মনে আসন গড়তেও সক্ষম হয় সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই ছেলেটি। তারপর ফেনী ব্রিজবেন স্কুলে আমি যখন কমর্রত সেখানে তাকে প্রস্তাব করি জয়েন করতে। আমাকে সন্মান ও বিশ্বাস করে যে তিনজন শিক্ষক মাছুম, শিমুল এই স্কুলে যোগদান করে আমার প্রস্তাবনায় তার মধ্যে ‘শরীফ’ একজন।

অত্যন্ত ভদ্র অমায়িক শিক্ষিত পরিবারের ছেলেটি এক সময় তার জীবনের প্রথম চাকরি ছেড়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেট ফার্মে যোগদান করেন। তবে তার ভাষায়, জীবনে চাকরির প্রথম অভিজ্ঞতাটা নাকি আমিই শিখিয়েছিলাম। দেখা হলেই শরীফ তা বলবেই। সে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে প্রাইভেট ফার্মে কিছুটা উন্নতির দিকে- আজো কমর্রত জীবনের বিভিন্ন বাঁক সঞ্জয়ে।

ছুটিতে গেলেই ফেনীতে আমাদের দেখা হয়। আবার আমি ঢাকায় এলে দেখা হয়। তবে ওর আন্তরিকতা আমার চাইতে বেশি। অনেকদিন রাজধানীতে আছি জানতে পেরে বলেই বসে, এতদিন আছেন বল্লেন ও না! এরই প্রতিদানের অংশ হিসেবে ওর সঙ্গে দেখা করি একদিন। সব আমার পছন্দেই করতে আগ্রহ এই স্বল্পভাষীর। ভাল লেগেছে, সহকর্মীর সাথে এমন মূহুর্তগুলো।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাকরি,অভিজ্ঞতা,আমি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close