অভিজিৎ মুখার্জি

  ০৬ নভেম্বর, ২০১৮

অনেক অন্যরকম একটা সাহচর্যে

বাম থেকে : জি এইচ হাবিব, কলকাতার অভিজিৎ মুখার্জি, রশিদ আসকারি, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, নেপালের চন্দ্র গুরু

সাত সংখ্যাটার মধ্যে যেন কী আছে! মিলান কুন্দেরা একজায়গায় লিখেছিলেন যে, একটা উপন্যাস লিখে ফেলার পরে প্রত্যেকবার উনি দেখেন যে- সেটা উনি সাতটা পরিচ্ছেদে ভাগ করে লিখেছেন, অথচ কোনও বারই এ বিষয়ে কোনও পূর্বপরিকল্পনা থাকে না। আমার ক্ষেত্রেও বেশ কিছুদিন যাবত সাত সংখ্যাটার একটু বিশেষ ভূমিকা যাচ্ছে। পকেটে যতটাকাই থাকুক (খুবই ধনী তো) আমি অচেতনেই খেয়াল রাখি, আলাদা করে সাতটাকা আছে তো? কারণ কিছুই না, একটা নির্দিষ্ট দোকান থেকে একটা পান কিনতে সাতটাকা লাগে, আর অটো রিকশায় আমার বাড়ি থেকে ইউনিভার্সিটি যেতেও ওই সাতটাকা। কিন্তু এই সাতের খপ্পর এড়িয়ে আমি কাটিয়ে এলাম ঢাকা শহরে। গিয়েছিলাম ঢাকা অনুবাদ উৎসবে যোগ দিতে। এবং সেখানে আমার চারপাশে দেখলাম এমন একটা জগৎ, যেখানে সবাই আমারই ভাষায় কথা বলে, একই খাবার খায়, একই গান শোনে, পুরনো দিনের একই লেখকদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়, উদ্ধৃতি দেয়, অথচ আমার এই ষাটোর্দ্ধ জীবনকালের যাবতীয় অভিজ্ঞতার একেবারে বাইরের একটা জগৎ! খুব ছোটবেলার স্মৃতি তো অস্পষ্ট, জ্ঞান হয়ে থেকে এরকম মানুষদের মধ্যে একটার পর একটা দিন সকাল থেকে রাত অবধি কি কাটিয়েছি? কোনও ভাবেই না, আমি নিশ্চিত। এর আগে কলকাতার অনেককেই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে শুনেছি বাংলাদেশের আতিথেয়তার। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, কিন্তু আসল হলো যেমন সব মানুষদের দেখলাম।

ছবিতে বাম থেকে : সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু, অভিজিৎ মুখার্জি, অলাত এহ্সান, ইকবাল হোসেন কচি

একজন অত্যন্ত উচ্চপদের সরকারি আধিকারিক একদিন চা খেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিছুদিন যাবত উনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। সেইসূত্রে বুঝতে পারি, অহরহ বিদেশে যাতায়াত করতে হয় ওঁকে। ঠিক এইসময়ে যে ঢাকায়, সেটাও একটা কো-ইন্সিডেন্স বা সমাপতনই বলতে হবে। ওঁর অসম্ভব ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনের মধ্যে আমার অনুবাদ করা দু’খণ্ডে প্রায় হাজার পাতার একটা বই উনি পড়ে শেষ করে, সেটা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন। চুনোপুঁটি অনুবাদকদের কাছে এ যে কতবড় প্রাপ্তি, তা বুঝতে হলে আপনাদের কষ্ট করে চুনোপুঁটি অনুবাদক হয়ে উঠতে হবে, প্রতিষ্ঠিত হলে কিন্তু ধরা দেবে না।

দু’একদিন আগেই একদিন মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল। মুখে প্রশান্ত আত্মস্থতা ও আত্মবিশ্বাসের ছাপ জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতার আয়না। কিন্তু মুশকিল হল, তার আগের দু’দিন অন্য সুহৃদদের আতিথেয়তার ঠেলায়, এবং আমার এই বিপুল দেহভার নিয়ে শহর ঘুরে দেখার দীর্ঘ হাঁটাহাঁটির ধকলে আমি নিমন্ত্রণের দিন কাৎ। ফোন করে মৃদু আবেদন রাখার চেষ্টা হয়েছিল সেই চায়ের নিমন্ত্রণ যদি মুলতুবি রাখা যায়। উনি এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। সমাধান দিলেন, তার বদলে যেন দুপুরে লাঞ্চ করে আসি ওঁর সঙ্গে। বুঝুন!

ছবি (বাম থেকে) : প্রকৃতি প্রকাশ-এর স্টলে তাপস রায়, অভিজিৎ মুখার্জি, দিলওয়ার হাসান

এরপরে আর ধকলের কথা তোলা যায়? যাকে বলে সামচুয়াস লাঞ্চ, নানা বই ও বইপ্রেমীদের নিয়ে আলোচনা করতে করতে লাঞ্চ সমাধা হতেই কৌচের পাশে একটা টেবিলে রাখা চমৎকার ক’টি বই দেখিয়ে বললেন, এর থেকে যেটা পছন্দ হয় আমি নিতে পারি। আমি একটা বেশ দামি বই হাতে নিতেই উনি বললেন যে ওটা উনি কেনার সময়েই দু’কপি কিনেছিলেন, যদি অন্য কেউ পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ‘য়ুটোপিয়া’ কথাটার অর্থ আপনারা জানেন। সেই জগতের বিবরণে আমি একটা আইটেম রাখতে চাই, সেখানে উন্নয়ন আর প্রশাসন চলবে শ্রী জালাল আহমেদের মতো এরকম আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে। ভয়ে, ভক্তিতে, লাঞ্চের প্রলোভনে লোকের হাতে হাতে ঘুরবে বই। প্রকাশকরা শুনছেন?

বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে অনুবাদ উৎসবে আলাপ হল শ্রী দিলওয়ার হাসানের সঙ্গে, উনিও হারুকি মুরাকামি অনুবাদ করেছেন, কিন্তু চুনোপুঁটি অনুবাদক নন, আমি কলকাতায় থাকতেই তাঁর কথা শুনেছিলাম। অমন সোজাসাপটা অথচ পরিশীলিত, নিরহঙ্কারি, আন্তরিক মানুষ দেখে আমার কেমন অস্পষ্ট দুর্ভাবনা হতে লাগল। দুর্ভাবনার কারণ আপনারা অনুমান করে নেবেন নিজের নিজের মত। আমার তো আবার কলকাতায় ফেরার কথাও মাথায় ছিল। অমন একজন সঙ্গী পেলে আপনি হেঁটে ঢাকা থেকে দিল্লি চলে যেতে পারেন। পথশ্রম হবে, ক্লেশ হবে না। আর আলাপ হল খ্যাতনামা অনুবাদক জি এইচ হাবিবের সঙ্গে। সর্ব অর্থে একজন আধুনিক মানুষ।

আমি লোকটা একেবারেই মিশুক ধরনের নই, লোকে জানে। অথচ কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা ঠিক করে ফেললাম, ফেসবুকে হলেও যোগাযোগটা বজায় রাখতেই হবে। অনুবাদ উৎসবে প্রাপ্তির কথা আলাদা করে লিখব। সেখানেও চমৎকার সব কৃতবিদ্যদের কথা আসবে। একজনের কথা এখানে একটু জানিয়ে রাখি, তিনি হচ্ছেন অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জরুল ইসলাম। ইংরিজিতে যত অনায়াসই হোন, বিখ্যাতর চেয়েও বিখ্যাত সারস্বত ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রেও দেখেছি, ইংরিজি আর বাংলায় প্রকাশভঙ্গি একইরকম হয় না। এঁর খ্যাতি আর আমাকে উল্লেখ করতে হবে না, কিন্তু যেটা আমাকে সত্যিই যারপরনাই বিস্মিত করেছে, সেটা হল চিন্তার ও বক্তব্যের স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশের একেবারে সূচিতীক্ষ্ণ অভ্রান্ততা। বিরল।

আমার ঠাকুর্দা ছিলেন মাণিকগঞ্জ হাইস্কুলের সংস্কৃতের মাষ্টারমশাই, চৌষট্টি সালে কলকাতায় ছেলেমেয়েদের কাছে চলে আসার সময় উনি ওখানকার দেবেন্দ্র কলেজে সংস্কৃত পড়াতেন। আমার বাবা, জেঠা, কাকারা মাণিকগঞ্জ হাইস্কুলে পড়েছেন। একজন ছাড়া তাঁরা এখন গত হয়েছেন। একেবারে ছোট যে কাকা, তিনি এখন বস্টন নিবাসী। যেই শুনেছেন আমি ঢাকা যাব, যথেষ্ট শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও বলে রেখেছেন কিছু ছবি যেন তুলে আনি। কেন যেন ওঁদের বাড়ি কোথায় ছিল, সেটা জানার তেমন আগ্রহ ভেতরে কখনো বোধ করিনি। আমার উৎসাহ ছিল মাণিকগঞ্জ হাইস্কুল, চিরপ্রতিদ্বন্দী মডেল স্কুল, দেবেন্দ্র কলেজ, এগুলো দেখার।

আমার মেজো অভিভাবক চিন্তাবিদ শ্রীমান অলাত এহ্সান পরিবহন ধর্মঘটের মত বিপজ্জনক দিনে কোত্থেকে গাড়ি ভাড়া করে আমাকে নিয়ে গিয়ে তুলল মাণিকগঞ্জের শ্রী ইকবাল হোসেন কচির বাড়িতে, সেখানে আলাপ হল আরেকজনের সঙ্গে, সাংবাদিক, আলোকচিত্রশিল্পী শ্রী সইফুদ্দীন আহ্‌মেদ নান্নুর সঙ্গে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে স্কুল কলেজ সব তো এঁরা আমাকে দেখালেনই, তার আগে আতিথেয়তার বহর আপনারা অনুমানই করে নিয়েছেন। বাবার মুখে খুব শুনতাম হেডমাষ্টার মণীন্দ্র লাহিড়ীর প্রতি মুগ্ধতার কথা। স্কুলের প্রাক্তন হেডমাষ্টারদের তালিকা সম্বলিত বোর্ডে দেখলাম জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম।

ছবি (বাম থেকে) : সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম, তাশরিক-ই-হাবিব, অভিজিৎ মুখার্জি, জালাল আহমেদ

বয়েসে হয়েছে, নির্বিকার থাকার ক্ষমতা বেড়েছে, তবু কেমন শিহরণ হল, কল্পনার চোখে দেখলাম, মডেল স্কুলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি ফুটবল ম্যাচের সময় উনি নিজের স্কুলের ছেলেদের বলছেন, জেতার কথা ভেবে অধীর হয়ো না, খেলাটা থেকে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করো। সেদিন নাকি ওঁর স্কুলের ছেলেরা বড়ো ব্যবধানে জিতেছিল। সব তো বলে ওঠা যাবে না এটুকুতে, তবু বলি যে শ্রী ইকবাল হোসেন কচি আর সইফুদ্দীন আহ্‌মেদ নান্নুর কথা যে স্মৃতিতে থেকে যাবে, তার মধ্যে মিশে থাকবে আমার একটা ক্ষুণ্ণ অনুভূতি। জীবনে আরেকটু আগে যদি এদের সঙ্গে পরিচয় হয়ে সেটা বজায় থাকত, আমি হয়তো অর্জন করতাম আচরণে বেশ খানিকটা ভারসাম্য, অপরের আনন্দে আনন্দিত হওয়ার অনেকটা ক্ষমতা, পরিশীলিত আন্তরিকতা, সাহচর্যে ব্যতিক্রমহীনভাবে পরম স্বস্তিকর হওয়ার গুণ, প্রতিদানের প্রত্যাশামুক্ত উৎসাহী উদ্যম।

কলকাতায় অধিকাংশ মানুষ যে অপরিচিতজনকে আশঙ্কিত সন্দিগ্ধতায় বিবেচনা করে, সেই দেখে অভ্যস্ত আমি, এঁদের দেখে যতটা হতবাক হয়েছি, গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন দেখে, কিংবা ফুজি পাহাড় দেখে হইনি। মনুষ্যপ্রকৃতিই কি শ্রেষ্ঠ প্রকৃতি?

আজকের সময়ের গায়ক গায়িকাদের নিয়ে আপনাদের কী অভিমত? এদের যেন রিয়ালিটি শো টো-তেই মানায়, গাইতে এলে অন্যমনস্ক হয়ে পড়তে হয়। আমি অবশ্য বহুকাল খুব একটা নিয়মিত সাম্প্রতিকদের গানবাজনা শুনি না। তবু, আমার মনে হয় একজনই এসময়ের টাইটান। অদিতি মহসিন। ঢাকার বিশ্ববিখ্যাত ট্র্যাফিক জ্যাম অতিক্রম করে, গন্তব্য ঠিকমতো না জেনে হাসিমুখ রিকশাচালকের অশেষ হয়রানি ঘটিয়ে শেষ অবধি হাজির হলাম এক হলে, যেখানে কিনা বিনা টিকিটে প্রবেশাধিকার পেয়ে, রীতিমত কাছ থেকে বসে শুনলাম অদিতি মহসিনের রবীন্দ্রসংগীত। অন্যতম সঙ্গী ছিল মোজাফফর হোসেন। লেখক হিসেবে এখন ঢাকায় সে পরিচিত নাম। নানা কাজে সারাদিন অসম্ভব ব্যস্ত থাকে। লেখে তো বটেই, সঙ্গে কেন যেন অনেক পড়েও! কিন্তু তার মধ্যেও সে ঠিক সময় বের করেছে, আমাকে খানিকটা সঙ্গ দেবে বলে।

অতিথিবৎসল প্রকাশক সৈকত হাবিব সাহিত্যালোচনায় ভারি উৎসাহী লোক, তাঁর দপ্তর কাম বিপণীতে দেখা করতে আসছিলেন অগণিত গুণীজন। রাইজিং বিডির সাহিত্যপাতার সম্পাদক, কালি ও কলম পুরস্কার পাওয়া লেখক, তাপসের সঙ্গে সেদিন ওখানেই প্রথম সাক্ষাত দেখা হল। আলাপ হলে তাপসকে ভালো লাগবে না এমন লোক জগতে পাওয়া যাবে না। আরো একদিন দেখা করার প্রস্তাব রাখলাম, বাড়ি একটু দূরে, ফিরতে অনেকটা রাত হয়ে যাবে, তবু তাপস ঠিক সময় বের করল। আমার ধারণা তাপস কারুকে কিছুতে ‘না’ বলতে পারে না। লেখকদের কী করে সামলায় কে জানে, ঢাকায় তো দেখলাম কলকাতার চেয়েও অগণিত লেখক!

আমার মেজো অভিভাবক চিন্তাবিদ অলাতের কথা তো বলেছিই, তিনি সর্বদাই সাহিত্য, রাজনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে আমার মৌখিক পরীক্ষা নিয়েই চলেন। যতদিন ছিলাম, বহুদূর থেকে আমার সকালের নাস্তাটির ব্যবস্থা করে এসে হাজির হয়েছেন, যাতে আমাকে বেরোতে না হয়, যতটা আয়েশের ব্যবস্থা করা যায়। আর ছিলেন আমার বড়ো অভিভাবিকা সাদিয়া মাহ্জা‌বীন ইমাম। ইনি পুরস্কৃত লেখিকা, বিস্তৃত পাঠাভিজ্ঞতার অধিকারিণী, সাংবাদিক, নিবিষ্ট প্রকৃতিপ্রেমী, নানা বিচিত্র দুর্গম জায়গার পর্যটক, এসব কোনও পরিচয়কেই আমল দেন না। দেখে শুনে আমার মনে হয়েছে, পুরো জগতটাকেই নিজের শাসনে চালাতে পারলে উনি কিছুটা হয়তো তৃপ্তি পাবেন। আর তাঁর ভাই উপল, কত কম কথা বলে কত গভীরভাবে একটা আড্ডায় মুখ্যদের একজন হয়ে বিরাজ করা যায়, তার এক বিস্ময়কর নমুনা। অর্থবহ মানসিক সংযোগ সম্ভবত কথা ছাড়াই স্থাপন করা যায়, আন্তরিকতা থেকে, সজাগ মানসিক উপস্থিতি দিয়ে, সবটা সবাক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

আমি অবশ্যই জানি এটুকুই শহরটার জীবনযাত্রায় সবটা নয়। সমস্যা আছে, অনেক সমস্যাই আছে। আমার ধারণা, অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে, আরও ব্যাপক বাণিজ্যিক উদ্যমের সঙ্গে সেগুলোও পরিবর্তনের পথে যাবে, ধীরে হলেও। ওঠানামা থাকবে। কিন্তু মনে হয় সামলে উঠবে শেষাবধি, এরকম মানুষগুলো আছে না? আরও তো আছে। কলকাতার খুচরো সাতটাকার চৌহদ্দি পেরিয়ে কাটিয়ে এলাম কাছেই, কিন্তু অনেক অন্যরকম একটা সাহচর্যে। হ্যাঁ, পুরো সাতটা দিন!

লেখক পরিচিতি: অভিজিৎ মুখার্জি একাধিকবার জাপান ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে সে দেশের ভাষা শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। দেশে ধারাবাহিকভাবে দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন। বক্তৃতা দিয়েছেন বিভিন্ন দেশে। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও সাহিত্যের অনেকগুলো শাখায় তার উৎসাহ ও চর্চা।

বিশ্বসাহিত্য বিস্তৃত পাঠসূত্রে তিনি জাপানি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদে নিবিষ্ট হয়েছেন। জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামির গল্প-উপন্যাস অনুবাদে তাঁর সুখ্যাতি অনেক। মুরাকামির অথোরাইজ বাংলা অনুবাদক তিনি। গত ২৬ অক্টোবর বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘ঢাকা ট্রানস্লেশন ফেস্ট ২০১৮'র অন্যতম বক্তা হিসেবে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছিলেন অভিজিৎ মুখার্জি।

তাঁর লেখা গ্রন্থগুলো হচ্ছে - ট্যাগোর এন্ড জাপান (গদ্য), যে ভারতীরা ইংরেজিতে লিখছেন (প্রবন্ধ), যেটুকু জাপান (গদ্য), এক ডজন মুরাকামি (অনুবাদ), বিগ্রহ ও নিরাকার (অনুবাদ)। সম্প্রতি যাদবপুর ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে দুই খণ্ডে প্রকাশ হয়েছে হারুকি মুরাকামি’র উপন্যাস ‘সমুদ্রতটে কাফকা’।

সূত্র— অধ্যাপক-অনুবাদক অভিজিৎ মুখার্জির ফেসবুক স্ট্যাটাস

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অভিজিৎ মুখার্জি,ঢাকা অনুবাদ উৎসব,মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close