জাতিসংঘের শান্তির সংস্কৃতি সভায় রোহিঙ্গা ইস্যু
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপার মিয়ানমার থেকে আসা বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদেরকে নিয়ে যে গুরুতর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে এর অবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি মনোনিবেশ প্রয়োজন। ‘শান্তির সংস্কৃতির’ উপর জাতিসংঘের এক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুকে উপস্থাপন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মাসুদ রোহিঙ্গা ইস্যু একটি ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ এবং শান্তি ও মানবতা রক্ষার স্বার্থে বিশ্ববিবেক জরুরি পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এবং সবাইকেজানান, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সামনের সারিতে থেকে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ কর্মসূচিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের এই শান্তির সংস্কৃতির সাধারণ বিতর্ক অংশে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন। সভায় কি-নোট বক্তব্য দেন নোবেল বিজয়ী বেটি উইলিয়ামস।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনাই প্রথম জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ধারণাটি প্রস্তাব করেন। সেই থেকে বাংলাদেশ স্বপ্নদর্শী ও সার্বজনীন এই ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণার পূর্ণ ও কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এর প্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রসমূহের উপর গৃহীত সকল ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
একই দিন বিকেলে প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও জাতিসংঘের সাবেক সহকারি মহাসচিব আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। ‘শান্তির সংস্কৃতি ফোরামের উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন চট্টগ্রামের সন্তান জাতিসংঘের শান্তির দূত হিসেবে আজীবন দায়িত্ব পালনকারি শ্রীচিন্ময় প্রতিষ্ঠিত নিউ ইয়র্ক ‘শ্রীচিন্ময় সেন্টার-এর শিল্পীরা।
পিডিএসও/তাজ