অবৈধপথে সাগর পাড়ি দিয়ে গত দুই দিনে ইতালিতে অবতরণ করেছেন পাঁচ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এদের মধ্যে ৩৬২ জনই বাংলাদেশের নাগরিক। শুক্রবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের সিসিলি উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে তাদেরকে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানায়, গত বৃহস্পতিবার তিউনিশিয়া থেকে ১১৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছায় নয়টি নৌকা। শুক্রবার তিউনিশিয়া থেকে সাতটি ছোট নৌকা ও লিবিয়া থেকে দুটি বড় নৌকায় ইতালি পৌঁছেছে আরও ৪৩৪ জন।

এর মধ্যে লিবিয়া থেকে যাওয়া একটি নৌকায় ৯৫ জন এবং অপর নৌকার ২৬৭ জনসহ মোট ৩৬২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশের নাগরিক।

এদিকে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দেয় ইতালি। এদের মধ্যেও অনেক বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানা গেছে।

তবে এই পৌঁছানো অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কীভাবে দেশটিতে পৌঁছেছে তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ইতালির কোস্ট গার্ড।

ইতালীর গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে সমুদ্র শান্ত থাকার সুযোগে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধপথে ইতালি পৌঁছে। গত বছরের তুলনায় সেখানে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের হার বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে ২০১৮ সালে একই সময়ে ইতালি গিয়েছিলেন প্রায় ১৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।