যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা এসকে সিনহার
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসির’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
এ সময় সিনহা বলেন, এ দেশে বর্তমানে আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখানে আমি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কিন্তু এখনও এর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিনহা দাবি করেন, তিনি লন্ডনের হাউস অব কমনস, জেনেভা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নড়তে পারছেন না।
সাবেক বিচারপতি জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ বোধ করছেন না। তার ভাষ্য, আমি এত ভীত থাকি যে, ২৪ ঘণ্টা বাসাতেই থাকি। সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে তার বাসা সবসময় পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আমার বাসায় যায় তাদের ছবি তোলা হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এর এক বছরের মাথায় তিনি বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন যা নিয়ে আলোচনা চলছে। বইতে সিনহা লিখেছেন, ২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগ করতে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে।
এদিকে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, আমি কখনও রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না, আমি রাজনীতি ঘৃণা করি। কারণ, যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৭৪ সাল থেকে আমি দেখছি… আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নিইনি।
পিডিএসও/তাজ