নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ আগস্ট, ২০১৭

ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ লাখ, ১০৭ জনের মৃত্যু

উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মোট ২২ জেলা এখন বন্যার কবলে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৩৩ লাখ ২৭ হাজার বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের তথ্য। এ বছর দ্বিতীয় দফা বন্যা উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল ছাড়িয়ে এখন মধ্যাঞ্চলে বিস্তৃত হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন শামীমা গতকাল বুধবার জানান, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২২ জেলার তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব জেলায় বন্যায় ৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২টি পরিবারের ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর ও রাঙামাটি জেলার ১২২টি উপজেলা ও ৩৮টি পৌরসভা এখন বন্যায় প্লাবিত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। এ জেলার ১৩টি উপজেলার সবগুলোয় বন্যাকবলিত।

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ার পর উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বুধবার থেকে কমতে শুরু করেছে, তবে পানি বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদীগুলোতে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যাজনিত কারণে গত জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১০৭ জনের মৃত্যুর খবর বুধবার জানানো হয় মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের এবং ৪৮ ঘণ্টায় ২৪ জন। বন্যায় মারা যাওয়া ১০৭ জনের মধ্যে ৯২ জনেরই মুত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। আর সাপে কাটায় মুত্যু হয়েছে ১০ জনের, বজ্রপাতে মারা গেছেন দুজন। এ ছাড়া অন্যান্য কারণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর মধ্যে জামালপুরে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানান আবুল কালাম। এ জেলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে ২৩ জন, কুড়িগ্রামে ১৯, গাইবান্ধায় ১১, দিনাজপুরে সাত, লালমনিরহাটে ছয়, নীলফামারীতে পাঁচ ও কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন।

বন্যা আক্রান্ত ২১ জেলায় ১ হাজার ৮২৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, ‘গত মাস থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি বন্যাকবলিত এলাকায় সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধের মজুদ রয়েছে আমাদের, কোনো সংকট নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বন্যাকবলিত এলাকার মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist