reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ মে, ২০১৭

নেপালে ৪,০০০ বন্যপ্রাণির দেহাংশ ধ্বংস

নেপালের কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বন্যপ্রাণি শিকার এবং এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বন্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ৪,০০০ থেকেও বেশি প্রাণির দেহাংশ ধ্বংস করেছে। কাঠমুন্ডুর দক্ষিণে চিতওয়ান এলাকায় সোমবারে গণ্ডারের শিং, বাঘ ও চিতাবাঘের চামড়া পুড়িয়ে ফেলা হয়, যেখানে একটি তুষার চিতাবাঘ ও দুটো ধূসর চিতাবাঘের চামড়াও ছিল। এর আগে ২০ বছর পূর্বে নেপালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে বিপন্ন বন্য প্রাণির আবাসস্থল চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ শরণ মাহাত বিপুল পরিমাণ এসব প্রাণিদেহাংশে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করি এসব বন্য পশুপাখির দেহাংশ ধ্বংস করা হয়েছে এই বার্তা দেয়ার জন্য যে, জীবিত অবস্থায়ই বন্য প্রাণিদের দেহাংশ মূল্যবান, মৃত অবস্থায় সেটা মূল্যহীন।

বন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মহেশ্বর ধাকাল বলেন, এটি জীবজন্তুর দেহাংশের অবৈধ বাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করবে। যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তা সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচে কোনো যুক্তি নেই।

নেপালে গত ২০ বছরে বাঘ ও এক শিংযুক্ত গণ্ডারের সংখ্যা বেড়েছে এবং চিতওয়ানেই তাদের বেশির ভাগের অবস্থান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দুই দশক আগে ৯১ টি বাঘ ও ৩৭২টি গণ্ডারের তুলনায় নেপালে এখন ১৯৮টি বাঘ ও ৬৪৫টি গণ্ডার রয়েছে।

অবৈধভাবে প্রাণি শিকারে কঠোর নিষেধাজ্ঞামূলক কার্যক্রম, তৃণভূমি ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ সাফল্যের পেছনের কারণ বলে বিশ্বাস করেন কর্মকর্তারা। তবে ১,১০০ কেজি হাতির দাঁত না পুড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জীবজন্তুর দেহাংশ,বন্যপ্রাণি,নেপাল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist