reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ মে, ২০১৯

কক্সবাজারে ফণীর প্রভাব সাগরে

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানার পর শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়ছে। বাড়ন্ত পানির রেশ কক্সবাজারের উপকূলে দেখা দিলেও কূলে ফণীর প্রভাব নেই বললেই চলে।

ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। শুক্রবার ফণী আঘাত হানবে এমন শঙ্কায় বিকেলে শুরু হতে যাওয়া দুদিনব্যাপী ডিসির বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা এবং ৪ এপ্রিল উখিয়া অনুষ্ঠিতব্য চাকরি মেলা স্থগিত করেছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার। মজুদ রাখা হয়েছে ৪শ মে.টন জিআর চাউল, সাড়ে ৪ হাজার প্যাকেটজাত শুকনো খাবার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৯টি মেডিকেল টীম ও বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আফসার জানান, উপকূলীয় লোকজনসহ কক্সবাজারে অবস্থানকারি পর্যটকদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সৈকত তীরসহ শহরের জনবহুল স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে সতর্ক সংকেত বুঝানো হয়েছে। উপকূলে মাইকিং চলমান রয়েছে। জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে আলাদাভাবে সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফণী,ঘূর্ণিঝড়,কক্সবাজার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close