কালবৈশাখীর প্রকোপ কমবে আগামী সপ্তাহে
এপ্রিল ও মে মাসে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বছরের এপ্রিলের শুরু থেকে এরইমধ্যে হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি ঝড়। তার সঙ্গে রয়েছে বজ্রাঘাত আর শিলাবৃষ্টি। এতে করে কোথাও কোথাও ফসলের ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, প্রায় প্রতিদিনই কালবৈশাখী আঘাত হানছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। আজও (১৯ এপ্রিল) সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর প্রবণতা কমে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। সেইসাথে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই দিন এই প্রবণতা চলবে। তারপর থেকে কমতে থাকবে। আবার তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এই ঝড় বৃষ্টিও বাড়তে পারে।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রপাতসহ অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডে ৫১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পিডিএসও/হেলাল