সমুদ্র সৈকতে বর্ষ বিদায়...
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বিদায়ী বছরের সূর্যকে এক নজর দেখতে ভীর করেছিল পর্যটকরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যর্থতা, গ্লানি, জরাজীর্ণতাকে সঙ্গে নিয়ে অস্তমিত হল বাংলা ১৪২৪ বর্ষের শেষ সূর্যটি। আর সেই স্বাক্ষী থাকল লাখো পর্যটক। আজ শুক্রবার কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার সৈকতের ৬টি পয়েন্টে পর্যটকেরা লাল সূর্যকে বিদায় দেন। বিদায়ী বছরের জন্য প্রকৃতিতে ছিল যেন বিষাদের ছায়া। তবে আগামীকাল শনিবার নববর্ষ ১৪২৫ বরণের আমেজ দেখা গেলো পর্যটকদের চোখে-মুখে। জানা গেছে, শহরের ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলের সাড়ে ৭ হাজার কক্ষই বুকিং হয়ে আছে। এসব হোটেলে ওঠা বেশিরভাগ অতিথিই কক্সবাজারে এসেছেন বর্ষবিদায় ও বরণে। পর্যটকদের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশও। তারকা মানের হোটেলগুলোতে থাকছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার ও ইভেন্ট।
বর্ষ বিদায় ও বরণে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন নবদম্পতি পারভেজ চৌধুরী ও সায়মা চৌধুরী। পুরান ঢাকার বাসিন্দা এই দম্পতি বলেন, কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে এসেছি। ইতিমধ্যে হিমছড়ি, পাঠুয়ারটেক, ইনানী ও রামুর বৌদ্ধবিহারগুলো দেখা হয়েছে। তবে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট (পর্যটন সেল) সাইফুল ইসলাম জয় জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি। সৈকতের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমি নিজেও মাঠে রয়েছি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলে রাব্বি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন লাখোধিক পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। বিশেষ করে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আরও বেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। কাজ করছেন সাদা পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও।পিডিএসও/মুস্তাফিজ