অভিনেতা রাতিন আর নেই
দেশের অন্যতম খল অভিনেতা আবদুর রাতিন (৬৪) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রয়াত অভিনেতার ছোট ভাই সাংবাদিক অঞ্জন রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হলে রাতিনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দেয়। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় ৬ জুলাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। পরে ৯ জুলাই তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সবশেষে দুদিন আগে নিয়ে যাওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখানেই তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় এফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাতিনের মরদেহ স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। আবদুর রাতিনের ভাই অঞ্জন রহমান সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘মূলত চিকুনগুনিয়া থেকেই ভাইয়ার অবস্থা খারাপের দিকে যায়। কারণ, ৫০-এর বেশি বয়স হলে এই জ্বর মারাত্মক প্রভাব ফেলে শরীরে। ভাইয়ার বেলায় সেটাই হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারলাম না।’
প্রসঙ্গত, মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা আবদুর রাতিন ১৯৭০ সালে মোস্তফা মাহমুদ পরিচালিত ‘নতুন প্রভাত’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। তিনি খল অভিনেতা হিসেবেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রাতিন অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দেবদাস’, ‘শুকতারা’, ‘জবাব চাই’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘চোরের বউ’, ‘মহান বন্ধু’, ‘লালু সর্দার’, ‘স্বার্থপর’, ‘হারানো সুর’ প্রভৃতি। তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যাও শতাধিক। টিভি নাটকে তিনি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে এখনো নিয়মিত অভিনয় করছিলেন। ২০০-এর বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘মহুয়ার মন’, ‘অভিনেতা’, ‘বোবাকাহিনী’, ‘গৃহবাসী’, ‘রত্নদ্বীপ’ প্রভৃতি। রাতিন অভিনীত প্রচার-চলতি ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘রুপালি প্রান্তর’। কায়সার আহমেদ পরিচালিত নাটকটি প্রচারিত হচ্ছে এটিএন বাংলায়।
পিডিএসও/রিহাব