হ্যাপি যেভাবে আমাতুল্লাহ
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় নিয়ে চিত্রনায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপি আলোচনায় এসেছিলেন। ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর আবারো চিত্রনায়িকা হ্যাপি আলোচনায় আসছেন, তবে পটভূমি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
মাকতাবাতুল আযহার প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ বইয়ের মাধ্যমে তিনি এখন যোগাযোগমাধ্যমে জায়গা করে নিচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, সাক্ষাৎকারধর্মী এই বইটি লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক ও তার স্ত্রী সাদিকা সুলতানা সাকী। বইটির সহ-লেখক আব্দুল্লাহ আল ফারুক বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভিনকে বলেন, প্রায় ছয়-সাত মাস আগে একবার ফেসবুকে ওয়ালে হ্যাপি পোস্ট করেছিল যে, তার জীবনকথা নিয়ে সে বই প্রকাশ করতে চায়, কেউ কি সেটা ছাপবে?
হ্যাপির ফ্রেন্ডলিস্টে সব মেয়ে থাকায় আমার স্ত্রীর মাধ্যমে তাকে বলি যে, আপনি যদি লেখেন তাহলে আমরা ছাপবো। এরপর তিনি লেখা শুরু করেন, বলেন ফারুক। কিন্তু এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হ্যাপির ইচ্ছাতেই সাক্ষাৎকারধর্মী এই বই লেখাতে উদ্যোগী হন দুজনেই। ফারুকের ভাষায়, অভিনেত্রী হ্যাপি এখন পুরোপুরো বদলে গেছেন এবং যেভাবে চলেন সেটা তাদের অবাকও করেছে। তিনি বিয়ে করেছেন, সংসার হয়েছে, আট মাস হয়ে গেছে। নায়িকার জীবন পার হয়ে এসেছেন সেটা তিনি বলেছেন।
এই বইয়ের মধ্যে একশো চারটা প্রশ্ন আছে বলে জানান ফারুক। তিনি জানান, অভিনেত্রী হ্যাপির শৈশব, তারুণ্য, অভিনয়, মডেলিং, জীবনের উত্থান কখন ছিল বা ধাক্কাটা কীভাবে আসলো। এরপরে তিনি কীভাবে নামাজি ও পর্দানশীল হলেন সেসব বিষয় উঠে এসেছে এই বইয়ে।
তবে যে কারণে হ্যাপি সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় এসেছিলেন সেই বিষয়টি এই বইয়ে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি আমাকে বললেন, এটা আমার জীবনের ভুলে যাওয়া অধ্যায়। আমার সংসারে এ নিয়ে কথা উঠে না। আমি চাই না এটা বইয়ে থাকুক। আর এ কারণেই ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান ফারুক।
ফারুক বলেন, হ্যাপি বলেছে, একটা সিনেমার মাধ্যমে তার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতেন , সিনেমা দেখতেন। হ্যাপির ভাষ্য, ইরানি একটা সিনেমা দেখে তিনি দ্বীনের পথে আসতে উদ্বুদ্ধ হন।
পিডিএসও/হেলাল