ঢাবি প্রতিনিধি
শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত সাইদুল আনাম টুটুল
মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল সিক্ত হয়েছেন মানুষের শেষ শ্রদ্ধায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রথম জানাজা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এর আগে সকাল ১১টা দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এরপর সেখানে তাকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চৌধুরী হাসান ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, নৃত্য পরিচালক আমানুল হক, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, রাইসুল ইসলাম আসাদ প্রমুখ।
এছাড়াও জাতীয় কবিতা পরিষদ, চলচ্চিত্র টেলিভিশন ইনস্টিটিউট সহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা জানি চলচ্চিত্রে টুটুলের যে ভূমিকা তা প্রচ্ছন্ন ছিলো। কারণ সে যে কাজ করতো, তা হলো সম্পাদনার কাজ । তার চলে যাওয়াতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
কথা হয় অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং চঞ্চল চৌধুরী সঙ্গে। সাইদুল আনাম টুটুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তারা বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এছাড়া তিনি অভিনয়ও করেছেন। কাজ করতে করতে তিনি চলে গেলেন। কাজটা শেষ করে নিজে দেখে যেতে পারলেন না। তার কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন।
সাইদুল আনাম টুটুলের মতো একজন দক্ষ নির্মাতার চলে যাওয়াটা বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ। একজন মানুষ হিসেবে তিনি কতটা উঁচু মানের ছিলেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। এ সময় তার চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্রের জন্যে অপূরণীয় বলে উল্লেখ করেন তারা।
উল্লেখ্য, সাইদুল আনাম টুটুল মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি অনুদানে তিনি ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্রের সম্পাদনা করেন। যা শেষ হওয়ার একদিন আগেই তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অজানার দেশে চলে গেছেন।
পিডিএসও/তাজ