বিনোদন প্রতিবেদক
টেলিফিল্ম ‘মৃত্যু ও জোনাকির ঝিলমিল’
মনোবিজ্ঞানীর দেওয়া প্রেসক্লিপশন দেখিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কিনে সবগুলো পাগলের মত খেয়ে নিলো আবির। চোখ মেলে রাখতে কষ্ট হচ্ছে তার। তারপরও শেষ বারের মত চারপাশটা দেখে নিলো। এরপর অস্পষ্ট কন্ঠে একটা কথা উচ্চারণ করলো, পৃথিবীর সকল মানুষ বেঁচে থাকুক।
জীবিত অবস্থায় মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে যা শুনেছে, যা পড়েছে, যা ভেবেছে তার কিছুই দেখতে পেলো না আবির। মৃত্যুর পরের জীবন যে কঠিন এক জেলখানা তা সে টের পাচ্ছে। একটি অন্ধকার ঘরে রাখা হয়েছে তাকে। কতদিন ঘরে আছে তার কোনো হিসাব নেই। আবিরের মতই সাদা পোশাক পড়া একটি লোক ওই অন্ধকার ঘরে এসে পৌঁছালো।
আবিরের মনে হলো লোকটিকে সে পৃথিবীতে দেখেছে। লোকটি মুচকি হাসি হেসে বললো এখানে সবারি এ রকম মনে হয় কিন্তু বাস্তবতা হলো পৃথিবীতে তাদের কখনোই দেখা হয়নি। পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত তাদের দুজনকে এক সাথে এই অন্ধকার ঘরেই থাকতে হবে। লোকটির নাম হাবিবুর রহমান। সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আবির কেন আত্মহত্যা করলো?
এমনই একটা গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মৃত্যু ও জোনাকির ঝিলমিল’ শিরোনামের একটি টেলিফিল্ম। মমর রুবেলের রচনায় টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছেন নাজমুল রনি। অভিনয় করেছেন সজল, নাদিয়া, জাহিদ হাসান, শিরিন বকুল, শোভনসহ আরো অনেকে। টেলিফিল্মটি শুক্রবার রাত ১০টায় একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।
পিডিএসও/তাজ