তুহিন খান নিহাল
শুটিং শেষে চাইলেন সিনেমা নির্মাণের অনুমতি
কলকাতার নির্মাতা জয়দেব মুখার্জি পরিচালিত ‘ভাইজান এলো রে’ শিরোনামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। ছবিটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও পায়েল সরকার। কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের প্রযোজনায় ইতোমধ্যে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে গতকাল রোববার ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমাটি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে অনুমতি চেয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন ছবিটির নির্মাতা জয়দেব মুখার্জি। আবেদন পত্রে শাকিব খান, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি ও পায়েল সরকার অভিনয় করার কথাও উল্লেখ করেছেন নির্মাতা। হঠাৎ এমন আবেদন পত্র পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
পরিচালক সমিতির বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশের ছবি নির্মাণের আগে নিয়মানুযায়ী দেশের বাইরের পরিচালক হলে অতিথি পরিচালক হিসেবে আবেদন করতে হয়। সমিতি আবেদন মঞ্জুর করলে ছবির নাম এন্ট্রি করে কাজ শুরু করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশেও ছবির কিছু অংশের শুটিং করতে হয়। তবে এসবের কিছুই মানেননি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ।
আরো বলা হচ্ছে, ছবিটি নিয়ম ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কাগজ কলমে ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিকে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ছবি হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কোনো নিয়মই মানেনি বলে অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে এই নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একই শিল্পী নিয়ে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কীভাবে কাজ শুরু করার অনুমতি চেয়েছেন— পরিচালক সমিতিতে এমন প্রশ্ন চলচ্চিত্রে অঙ্গনের সবার।
এ বিষয়ে পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন জানান, নিয়ম অনুযায়ী যারা আমাদের পরিচালক সমিতির সদস্য তাদের সিনেমার নাম নিবন্ধন করি। এজন্য আগে সদস্য হতে হয়। গতকাল জয়দেব মুখার্জি আমাদের সমিতিতে এসেছিলেন সদস্য হওয়ার জন্য। তিনি সদস্য হওয়ার আবেদন পত্র জমাও দিয়েছেন। আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব তারপর সিদ্ধান্ত নিব।
তিনি আরো বলেন, জয়দেব মুখার্জি ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমার নাম দিয়েছেন এবং এতে শাকিব খান, শ্রাবন্তী ও পায়েল সরকার অভিনয় করবেন বলে অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু এই নামে এই শিল্পীদের একটি সিনেমার শুটিং এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তাহলে শুটিং করার অনুমতি কীভাবে চাইলেন তা আমরা খতিয়ে দেখব।
তবে পরিচালক সমিতির সদস্যপদ না পেলে ছবিটি মুক্তিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক নেতা খোকন আরো বলেন, ‘ছবিটি যদি সেন্সর পায় তাহলে তো মুক্তি পেতে বাধা নেই। তবে সাফটা বা বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ছবিটি যদি আসে তাহলে ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে না। কারণ আইন অনুযায়ী যদি বাংলাদেশের কোনো ছবি না থাকে। তাহলেই কেবল বাইরের ছবি মুক্তি পেতে পারে
এদিকে ‘ভাইজান এলো রে’ সিনেমাটি ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য কলকাতায় সিনেমাটির প্রচারণাও শুরু করেছে প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
পিডিএসও/তাজ