reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

‘দিনে আম্মা ডাকে, রাতে বিছানায়’

হলিউড, বলিউড- সব ইন্ডাস্ট্রিই কাঁপছে নায়িকা বা অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার বিনিময়ে নারীদের ভোগ করার সমালোচনায়। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি থেকে ঐশ্বরিয়া রাই- মুখ খুলছেন একে একে দুনিয়া কাঁপানো অভিনেত্রীরা। তারা অভিযোগ আনছেন বিভিন্ন প্রযোজক-পরিচালকদের নামে।তবে হঠাৎ করেই যেন অভিযোগের ঝাপি খুলে বসেছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি। একের পর এক বেরিয়ে আসছে নোংরা সব অভিযোগ। কিছুদিন আগেই ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন তেলুগু অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি।সেই ধারাবাহিকতায় তেলুগু ছবির দুনিয়ায় যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন একের পর এক অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে রয়েছেন সন্ধ্যা নাইডু, কে অপূর্বা ও সুনীতা রেড্ডির মত জনপ্রিয় মুখ।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, ১০ বছর ধরে তেলুগু ছবিতে কাজ করছেন সন্ধ্যা নাইডু। তিনি রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন। বলেছেন, এখন তার কাছে মা বা মাসির চরিত্রে অভিনয়েরই প্রস্তাব বেশি আসে। সকালে শুটিংয়ের সময় তাকে সেটে আম্মা বলে ডাকা হয়। আর রাতে তাকে বিছানায় নিয়ে শুতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। খুবই বাজে অভিজ্ঞতা হচ্ছে দিনদিন। তিনি বলেন, ‘একবার একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময় একজন জিজ্ঞেস করেছিল বুকের কাপড়ের ভেতরে ছোট কাপড় পরেছি কী না। সেটি কী রঙের! এই হলো মানসিকতা।’

সুনীতা রেড্ডি নামে আর এক অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন, জোর করে সকলের সামনে পোশাক পাল্টাতে বাধ্য করা হয় তাদের। এমনকী প্রাকৃতিক প্রয়োজনও মেটাতে হয় পাঁচজনের সামনে। ম্যানেজাররা বলে, তারকা নায়ক-নায়িকাদের মেকআপ ভ্যান ব্যবহার করতে কিন্তু সেখানে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। ব্যবহার করা হয় পোকামাকড়ের মত। নায়ক-নায়িকারা প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করেন, মুখের ওপর বলে দেন, যেন তাদের ভ্যানের আশপাশে ঘোরাফেরা না করা হয়।সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন শ্রী রেড্ডিও। তিনি জানিয়েছেন, কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ চলবেই।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দিনে আম্মা,রাত,বিছানা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist