রাবি প্রতিনিধি

  ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উসকানি

চারুকলা অনুষদের সেই ডীনের পদত্যাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উসকানির বিতর্কেও পরে এবার পদত্যাগ করলেন চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের কাছে তিনি এ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক এম এ বারী জানান, ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে পত্র জমা দিয়েছেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ঐ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে পদত্যাগ করেছি।’ জানা যায়, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ ডিন ক্যাটাগরিতে বিএনপিপন্থী সাদা প্যানেল থেকে নির্বাচন হন।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারুকলা অনুষদের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় গ্রন্থ বিষয়ে সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক প্রশ্ন প্রণয়নের অভিযোগে অনুষদটির ডীন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও চারুকলার সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ১০ বছরের জন্য যেকোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ডীনের পদ থেকে অব্যাহতির জন্য যদি আইনগত বাধা না থাকে তাহলে ডীনকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয় ঐ সভায়। সিদ্ধান্তের ৪ দিনের মাথায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন অধ্যপক মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ দুটি প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। ওই প্রশ্ন দুটি একটি হলো, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কী?’ এই প্রশ্নের চারটি অপশন ছিল-ক. পবিত্র কুরআন শরীফ খ. পবিত্র বাইবেল গ. পবিত্র ইঞ্জিল ঘ. গীতা। অন্য প্রশ্নটি হলো- ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধধর্মালম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে?’ যার চারটি অপশন ছিল-ক. ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ খ. ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ গ. ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঘ. ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। এরপর ওই দুটি প্রশ্নকে সাম্প্রদায়িক উসকানি উল্লেখ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষকরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

পরে ওই ঘটনায় ২৮ অক্টোবর উপ-উপার্চায অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই সিন্ডিকেটে দুই শিক্ষককে সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সেই ডীনের পদত্যাগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist