তহিদুল ইসলাম, জাবি
জাবিতে জালিয়াতির অভিযোগে ভর্তিচ্ছু আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তির দ্বিতীয় দিনে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সাহায্য নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে এক ভর্তিচ্ছুকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার ভর্তি হতে আসলে ওই ভর্তিচ্ছুকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত ভর্তিচ্ছুকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত ভর্তিচ্ছুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী।
আটককৃত ভর্তিচ্ছু হলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার পূর্ব নারন্দী গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদে (ই ইউনিট) ৯ম হয়ে ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হতে এসে আটক হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবরে থাকেন।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন নীলাঞ্জণ কুমার সাহা বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর (তোফায়েল আহমেদ) হাতের লেখা উত্তরপত্রের সাথে একদমই মেলেনি। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। তবে কিভাবে বা কী প্রক্রিয়ায় সে জালিয়াতি করেছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু স্বীকার করেনি।’ এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আটককৃত শিক্ষার্থীর জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডীন অফিস আমাদের কাছে পাঠায়।’
এদিকে মঙ্গলবার একই অভিযোগে কলা ও মানবিকী অনুষদের অধীন জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হতে আসা এক ভর্তিচ্ছুর ভর্তি আটকে দেওয়া হয়েছে। হাতের লেখায় গড়মিল পাওয়ায় সন্দেহবশত ওই ভর্তিচ্ছুকে আটক করে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ। ওই ভর্তিচ্ছুর জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় মঙ্গলবার তাৎক্ষণিকভাবে তার একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে ওই ভর্তিচ্ছুকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় আগামীকাল যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল ওই ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার ম-ল বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে গড়মিল পাওয়ায় আমরা তাকে আটক করে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীন অফিসে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ওই ছেলেকে কালকে (বুধবার) ডিপার্টমেন্টে (জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ) যোগাযোগ করতে বলেছি। আজকে একটা পরীক্ষাও নিয়েছি। সব কাগজগুলো দিয়ে বিভাগকে আবার যাচাই করতে বলেছি। ওই ছেলে কনফিডেন্ট। এজন্য এটা আমাদের ভাবনার বিষয়। ওই ছেলেকে বলেছি, তোমার কাগজ পত্র বিভাগে পাঠিয়ে দেবো, তুমি বিভাগে যোগাযোগ করে আবার বোর্ড ফেস করো। সে আগে যে নম্বর পেয়েছিল নতুন পরীক্ষায় তা থেকে কম পেলেও পেতে পারে। কারণ আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্ন করেছি, সে ভুলে যেতে পারে, নার্ভাস থাকতে পারে। এটা এখন বিভাগের বিষয়, বিভাগ যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে।পিডিএসও/তাজ