রাবি প্রতিনিধি
হলের সামনে থেকে রাবি ছাত্রী অপহরণ, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এদিকে ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে বিকেলে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তারা সকাল ৮টার দিকে হল থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। বঙ্গমাতা হলের সামনে পৌঁছুলে তিন যুবক তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এদিকে অপহরনের ঘটনার পরও পরীক্ষা বন্ধ করেনি বাংলা বিভাগ। এনিয়ে বিভাগের সামনে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে শোভার সহপাঠীরা। পরীক্ষা বন্ধ না করার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রুমানা রশ্নি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা অপরিচিত মাইক্রোবাস ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। একটা মেয়েকে অপহরণ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। সবকিছু জানার পরও বাংলা বিভাগ কিভাবে পরীক্ষা নিেেয়ছে?
বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ তার যখন আবারও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে তাই একজনের জন্য ৯৯ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বন্ধ করা হয়নি। আমরা সেশনজট কাটিয়ে উঠে বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, এখন পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে আবারো বড় ধরনের সেশনজটে পড়তে হবে।’
রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জানান, ‘আমরা জেনেছি গত বছরের ডিসেম্বরে ওই মেয়ের বিয়ে হয়। দুই মাস আগে সে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। তবে তার স্বামী ডিভোর্স চাচ্ছে না বলে আজ সকালে দেখা করতে আসে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে নিয়ে যায় সে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছেন তারা স্বামী-স্ত্রী। তার স্বামীই নাকি নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে। আমরা সব জায়গায় খবর দিয়েছি।’পিডিএসও/রানা