ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবি সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন না দিয়ে ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া ভিসি প্যানেল নির্বাচনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন দুই ছাত্রী।
১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী। অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থীই দুটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেত্রী। তবে দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।
পৃথক অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ২৯ জুলাই সিনেট অধিবেশনে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধি না থাকার প্রতিবাদে তারা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করতে যান। সেখানে ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষকরা আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে ফটকের ভেতরে প্রবেশ করলে শিক্ষকরা তাদের ঘাড় ধরে বের করে দেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন।
অভিযোগপত্রে দুই ছাত্রী আরও উল্লেখ করেন, এ সময় সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের সিরামিকস বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম এক ছাত্রীর গলা জড়িয়ে ধরেন। তাকে ছাড়াতে গেলে অন্য এক ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দেন। অভিযোগপত্রে যৌন নিপীড়নকারী হিসেবে শনাক্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান দুই ছাত্রী।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ জানান, দুই ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরনের অন্যান্য ঘটনায় যেভাবে তদন্ত হয়, এ অভিযোগের বিষয়েও সেভাবে তদন্ত হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেদিন সিনেট ভবনে প্রবেশের গেটটি বন্ধ ছিল। তারা ধাক্কা দিয়ে সেই গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। যাতে সিনেট ভবনের ভিতরে ঢুকে যেতে না পারে সেজন্য আমরা তাদের বাধা দিই। এ সময় দুটো মেয়ে আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বুকের কাছে চলে এসে ওড়না পেঁচিয়ে পড়ে এবং চিৎকার চেচামেচি করে।
পিডিএসও/ইমরান/হেলাল