রাবি প্রতিনিধি

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

রাবি স্কুল শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের হুমকি অধ্যক্ষের

বড় মেয়েকে বিয়ে না করায় ছোট মেয়েকে দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

বড় মেয়েকে বিয়ে না করে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক দুরুল হুদাকে চাকরিচ্যুতের হুমকি দিচ্ছেন অধ্যক্ষ শফিউল আলম। এমনকি ছোট মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন ওই কলেজের প্রভাষক দুরুল হুদা।

দুরুল হুদা বলেন, ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যোগদানের পরের বছর অধ্যক্ষের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। এতে রাজি না হলেও অধ্যক্ষ এবং তার স্ত্রী রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু বারবার অনুরোধ করায় অনেকটা বাধ্য হয়েই পড়াই।

২০১৮ সালে মাঝামাঝি সময়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন কলেজ অধ্যক্ষ। কিন্তু আমি বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাই। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল অন্য একজন মেয়েকে বিয়ে করি। এতে তার মেয়েকে বিয়ে না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন আকাশ কুসুম কল্পনা বলেও হুমকি দেন তারা।

এরপর ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রাজশাহী শিক্ষক ট্রেনিং থেকে বাসায় আসলে তার মেয়েকে আবার পড়ানোর জন্য ফোন দেন। পুনরায় ১৬ অক্টোবর আবার ফোন দিলে অধ্যক্ষের কারণে বাধ্য হয়ে পড়াতে যাই। কিন্তু সেইদিন তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দেয়। এবং চারদিন পর ২০ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্র উপদেষ্টা মামলা দায়ের করেন। কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে জেল থেকে ফিরে এসে আমায় প্রাণনাশের হুমকি দিলে থানায় জিডি করি।

জেলহাজতে প্রেরণ করেই তারা ক্ষান্ত হননি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ করেন। অথচ ঘটনার পর দিন থেকে তার ছোট কন্যা নিয়মিত স্কুলে আসে এবং সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করে বলে দাবি দুরুল হুদার।

এছাড়া ইনক্রিমেন্ট হেল্ডআপ করা, প্রমোশন বন্ধ করা, এসিআর খারাপ করা, অধ্যক্ষের মন জুগিয়ে চলা, এনএসআই, ডিজিএফআইয়ের ভয় দেখানো, উনার কথা অনুযায়ী চলার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকিসহ বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ করেন শিক্ষক দুরুল হুদা।

এ বিষয়ে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু জানান, দুরুল হুদা যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে তার পরিবারকে জানাতাম। আর দুরুল হুদা যে সময়ের কথা বলছে তখন আমার মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি। কাজেই বিয়ের কথাবার্তার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শ্লীলতাহানি,হুমকি,রাবি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close