জাবি প্রতিনিধি

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

হলে ফিরছে শিক্ষার্থীরা

জাবিতে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণ ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর উপাচার্যের মদদে ছাত্রলীগ আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে নির্মম হামলা চালিয়েছিল। এই উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি; আমরা তা জাবির ক্ষেত্রেও দেখতে চাই। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমামুক্ত করতে চাই।’

শাখা ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দের সঞ্চালনায় সমাবেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন আগামী ১০ ডিসেম্বর উপাচার্যের ‘দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ করার ঘোষণা দেন।

এদিকে, দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়েছে। আর রোববার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। গতকাল বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হল বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিলেন, হল খুলে দেয়ার পর তারা হলে আসতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি থেকেও ক্যাম্পাসে ফিরছেন।

হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘সব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে নিজ নিজ হলে আসতে শুরু করেছে। তাদের নিরাপত্তায় প্রতিটি হলে সিসিটিভি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা) বসানো হয়েছে। এছাড়া হল মনিটরিং করা হবে। রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলবে। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ স্বাভাবিক থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।পরদিন দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন দুপুরেই জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জাবি,জাবি উপাচার্য,বিক্ষোভ মিছিল
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close