জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ-সমাবেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা ও মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা 'প্রত্যাখ্যান করে' উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় একশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে। মিছিল শেষে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর ২টা) সমাবেশ চলছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের ‘জ্বালো জ্বালো, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো, আগুন জ্বালো’, "ভিসি তোমায় দেখিয়ে দিলাম, ওয়ালাইকুম আসসালাম’, ‘একদফা এক দাবি, ফারজানা তুই কবে যাবি’, ‘জামায়াত শিবির থাকবে না, আমাদের ক্যাম্পাসে’, ‘দুর্নীতিবাজ থাকবেনা, আমাদের ক্যাম্পাসে’, ‘আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত’, ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সেই হাত ভেঙ্গে দাও’, ‘নিপীড়নের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার কর, হল থেকে দল থেকে; ইত্যাদি শ্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে।
পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবন ঘুরে পুনরায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। তার আগে সকাল থেকে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘আমরা ফারজানাকে উপাচার্য হিসেবে মানি না। এজন্য তার নির্দেশনাও মানবো না। উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিনই ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করা হয়। আর গতকাল রাতে জনসংযোগ অফিসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাইরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে এসে সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে বলে জানায়। এমনকি শিক্ষার্থীরা অফিস কিংবা আবাসিক এলাকায়ও অবস্থান করতে পারবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তবে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও মিছিল-সমাবেশে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা।
পিডিএসও/তাজ