ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগের সহযোগিতায় সন্তুষ্ট অভিভাবকরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগের সহযোগিতামূলক ভূমিকা অভিভাবকদের সন্তুষ্ট করেছে।

গতকাল শুক্রবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ-ইউনিট ও শনিবার চারুকলা অনুষদভুক্ত চ-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া যায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতায় মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিস প্রদান, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচিতির জন্য দিক নির্দেশক চিহ্ন ও সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা হয়।

এছাড়া সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করা, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করাসহ মোট ১০টি কর্মসূচির কথা জানায় সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।

ঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হওয়া ২ ইউনিটের পরীক্ষাতেই ছাত্রলীগের সরব অবস্থান দেখা যায়। ছাত্রলীগের হল শাখার নেতাকর্মীরা ভাগ করে দেওয়া বিভিন্ন পয়েন্টে সহযোগিতার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ক্যাম্পাসের বটতলা, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে সবুজ চত্বর, হাকিম চত্বরসহ কয়েকটি স্থানে পরীক্ষা চলাকালে অভিবাবকদের বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করে ছাত্রলীগ।

এসব কর্মকাণ্ডে বেজায় খুশি অভিবাবকরা। বেশ কয়েকজন অভিভাবকের দাবি, এই ধরনের কার্যক্রম ছাত্রলীগকে ইতিবাচক ভূমিকায় আনবে।

নিজের মেয়েকে চট্টগ্রাম থেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসা নসিম হোসেন ও তার স্ত্রী সুফিয়া হোসেন জানান, এত ভিড়ের মধ্যেও একটা শৃঙ্খলা দেখতে পেয়েছেন। পরীক্ষা কেন্দ্র খুঁজে পাওয়ার যে বিড়ম্বনা, ছাত্রলীগের কল্যাণে তা ঘুচেছে। ছাত্ররাজনীতি এমনই হওয়া উচিত বলে তাদের মতামত ।

আরেকজন অভিবাবক বলেন, আমার ছেলের কেন্দ্র পড়েছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। যখন আমি নীলক্ষেত পৌঁছাই, তখন প্রায় সাড়ে নয়টা। সেখান থেকে একজন স্বেচ্ছাসেবক মোটরসাইকেল দিয়ে আমাদের কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেন। সত্যিই ভালো লেগেছে ব্যাপারটি। এছাড়াও আরও কয়েকজন অভিভাবক ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

পরীক্ষার ২ দিনই ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের সহযোগিতায় কাজ করতে দেখা যায়।

এর আগে গ-ইউনিটের পরীক্ষার আগের রাতে ভর্তিচ্ছু বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে থাকবার সুযোগ করে দেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

এই বিষয়ে তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘যদি কোনো রুমে কোনো পরীক্ষার্থীর থাকতে সমস্যা হয় নির্দ্বিধায় আমার রুমে চলে আসো; আমি রুমের সামনে অপেক্ষা করছি। রুম নম্বর-৩০১৫, জগন্নাথ হল, ঢাবি। কারো নলেজে যদি থাকে, কোনো রুমে কষ্ট করে আছেন পরীক্ষার্থীরা; অনুগ্রহ করে পাঠিয়ে দিন। নিছক বাহবা কাম্য না, থাকতে আসলেই আমি স্বার্থক।’

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি,ছাত্রলীগ,ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা,ছাত্রলীগের কর্মসূচি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close