ঢাবি প্রতিনিধি

  ২৩ আগস্ট, ২০১৯

কালো দিবস থেকে শিক্ষা নিতে হবে : ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, কালো দিবস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য। সেদিন প্রশাসনের অনেক দায়িত্ব ছিল। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি যদি প্রশাসন অনুধাবন করতো, তবে বিষয়গুলো অন্যরকম হতো।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উপর সংঘটিত অমানবিক, বেদনার্ত ও নিন্দনীয় ঘটনার স্মরণে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে।

২০০৭ সালে ২৩ আগস্টের ঘটনায় নির্যাতিত ও নিপীড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে উপাচার্য বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেকেই ঘটনার যথাযথ মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করে সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এটিই হোক আজকের দিনে আমাদের সবার প্রত্যয়।

২০০৭ সালের ২২ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাবির আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার দাবি উঠে। এই দুই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, সেসময় প্রশাসন ছাত্রছাত্রীদের হল খালি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এটি কোনো সমাধান কখনোই নয়। সম্প্রতি ডেঙ্গু প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার কথা উঠেছে। এগুলো কোনো সমাধান হতে পারে না। সম্মিলিতভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই অগণতান্ত্রিক ও ষড়যন্ত্রকারী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় দেশের প্রয়োজনে এটি প্রমাণ করেছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ধরনের শিক্ষকের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি নুরুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষক থাকেন, যারা ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনে পাশে থাকেন। ছাত্রদের রক্ষা করেন। অন্য একদল থাকেন এর বিপরীত। ২০০৭ সালেও এমন পরিস্থিতি ছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রাসঙ্গিক।

ছাত্রদের আন্দোলনে ‘ষড়যন্ত্র’ না খোঁজার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সাত কলেজসংক্রান্ত সমস্যার সমাধানকল্পে ছাত্রদের আন্দোলনে ‘বিরিয়ানি তত্ত্ব’ খুঁজে পেয়েছেন। আমি বলবো, ছাত্রদের আন্দোলনে ‘ষড়যন্ত্র’ কিংবা ‘বিরিয়ানি তত্ত্ব’ খুঁজতে যাবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাবি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,কালো দিবস,মো. আখতারুজ্জামান
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close