জাবি প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০১৯

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপেক্ষিত জাবি ছাত্রলীগ!

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশিত হয়। এরপরই ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সদ্য ঘোষিত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক নেতা স্থান পেয়েছেন। এরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান সালেহী। তবে এই দুইজন ছাড়াও এবার বেশ কয়েকজন নেতা পদপ্রত্যাশী ছিলেন।

এরমধ্যে মো. মুরশিদুর রহমান আকন্দ, হামজা রহমান অন্তর, নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় প্রমুখের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছিল। তবে তারা পদ পাননি। এর আগে বিগত কমিটিতেও প্রথম দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দুইজন পদ পান। যদিও পরে আরো কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যপদ দেওয়া হয়।

এদিকে কমিটি ঘোষণার খবর প্রকাশিত হবার পর ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী।তারা বলছেন, বরাবরের মতো এবারো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মেধাবীরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারাবেন বলে দাবি তাদের।

শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ উপেক্ষিত। ত্যাগী, পরিশ্রমী, পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হয়েও অনেকেই আজ পদশুন্য, বঞ্চিত। ঢাকার একটু অদূরে অবস্থান, তারপরও সিনিয়র নেতাকর্মীরা বসে ছিলেন না। তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন। ৩০১ সদস্যের কমিটির মাঝে মাত্র ২ জন দায়িত্ব পেলেন। একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কেন্দ্র ঘোসিত সকল প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে পালন করা হয়ে থাকে কিন্তু বরাবরের ন্যায় এবারও আমরা উপেক্ষিত!

পদপ্রত্যাশী মো. মুরশিদুর রহমান আকন্দ হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজনীতি করি দলের স্বার্থে, সংগঠনের স্বার্থে মিথ্যাকে নিশ্চুপ বরণ করে কারাবরণ করেছি। মমতাময়ী জননীর জন্য প্রাণটা দেওয়া বাদে সংগঠনের জন্য সব করেছি। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা কমিটি করবার জন্য যেসব দিক মূল্যায়নের কথা বলেছেন তার কোন বিবেচনায় অযোগ্য হলে আজীবনের জন্য কারাবরণ করতে রাজি। কিন্তু এ কেমন সাজা!

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই মেধাবীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। শিক্ষা-দীক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাবির পরে জাবির স্থান। অথচ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি হলে তাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে মূল্যায়ন করা হয় না। ঢাকার বিভিন্ন কলেজও জাবির চেয়ে বেশি মূল্যায়ন পায়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, যারা পদ পেয়েছেন, তাদেরকে শুভেচ্ছা। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যাদেরকে যোগ্য মনে করেছে তাদেরকে পদ দিয়েছে। তবে আমি আশা করবো, সামনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো বেশি পদ পাবে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জাবি,ছাত্রলীগ,ক্ষুব্ধ,ছাত্রলীগের কমিটি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close