জাবি প্রতিনিধি
অ্যাম্বুলেন্সে জাবি ছাত্রীকে গার্ডের যৌন নিপীড়ন!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হলের এক গার্ডের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন হলটির এক আবাসিক ছাত্রী। গত ১৮ মার্চ অভিযোগকারী ছাত্রী অভিযুক্তের বিচার চেয়ে হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগপত্র দেন। পরে হল প্রভোস্ট সেটি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল তদন্ত করছে। অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়াকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, গত ১৪ ই মার্চ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফুড পয়জনিংয়ের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া তখন তার প্রেশার লো ছিল এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এসব কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। আর চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার সময় গোলাম কিবরিয়া তার শরীরের নানা স্থান স্পর্শ করেন। তবে এটা প্রতিহত করার সামর্থ তার সে সময় ছিল না।
অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় গোলাম কিবরিয়া শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সেও তিনি সহানুভূতি দেখানোর ছলে শরীরে হাত দিচ্ছিলেন।
ওই সময় অভিযোগকারীর সঙ্গে থাকা এক ছাত্রী বলেন, সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কামরুন নাহার খালাকে ডাকি। খালা হল সুপার ম্যামকে ডাকেন। ম্যাম মেডিক্যালে খবর দিলে অ্যাম্বুলেন্স আসে। আমরা তাকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলতে পারছিলাম না। এজন্য গার্ড মামাদের সাহায্য নেওয়া হয়। আর সে সময়ই ঘটনাটি ঘটে। আমি তখন রুম থেকে কিছু জিনিসপত্র নিতে যাই। এরপর অ্যাম্বুলেন্সেও গার্ড কিবরিয়া ওর গলায় মাথায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।
প্রীতিলতা হলের প্রিন্সিপাল হল সুপারিনটেনডেন্ট রোকেয়া বেগম বলেন, ঘটনার দিন ওই ছাত্রীর সাথে অ্যাম্বুলেন্সে সিকবয় আকরাম, সিকগার্ল কামরুন নাহার, গার্ড গোলাম কিবরিয়া ও ওই ছাত্রীর এক রুমমেট ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে দুপুরে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে বিকেলে তিন দফা ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, ‘আমি অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রেরণ করেছি। তারা এটা তদন্ত করছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একবার বসা হয়েছে।
পিডিএসও/তাজ