ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ঠুনকো কারণে গত ৩ দিন ধরেই থেকে থেকে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ জন আহত হয় এবং ৬ জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইয়াসিন আরাফাত, ইংরেজি বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের বেলাল হোসেন, ইতিহাস বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অমিত রায়, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সিফাত উল্লাহ সরকার, আইন বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ ও সাকিব হাসান।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের মাঠে খেলা শেষে বিজয় গ্রুপের দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আবু বক্করকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল এবং সিএফসি গ্রুপ শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ ব্যাপক ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবন বলেন, সিএফসি গ্রুপের নেতাদের ছাত্রত্ব নাই। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের নেতা নওফেল ভাইয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাটহাজারি মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করি। পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পিডিএসও/তাজ