চবি প্রতিনিধি

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

চবিতে বিভিন্ন মেয়াদে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ছাত্রত্ব বাতিল ১, সনদ স্থগিত ২ জনের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অপরাধে ১৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ১ জনকে স্থায়ীভাবে, ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও ২ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও পূর্বে বহিষ্কৃত একজনের বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী।

তিনি বলেন, গতবছর ১ মার্চ সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিমুল দাশ গুপ্তের হয়ে প্রক্সিতে পরীক্ষা দেয়ার অপরাধে শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী সৈয়দ ফাহিম জাফরীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া গতবছর ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির দায়ে বাংলা বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের জামশেদুল কবির ও ইতিহাস বিভাগের ১৩-১৪ সেশনের আনোয়ার হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সনদ স্থগিত করা হয়েছে। একই ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মোশাররফ হোসেন শিকদারকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে গতবছর ৪ নভেম্বর আইন বিভাগের প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় কাগজপত্রে অসামঞ্জস্যতা থাকায় পরবর্তীতে অনুসন্ধানে প্রক্সিতে ভর্তি হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৭-১৮ সেশনের মাইন নেওয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স অবৈধভাবে ব্যবহার ও মেডিকেলের কর্মচারীদের হুমকি প্রদান করায় অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এইচ এম হাসানুজ্জামানকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া রুহুল আমিন ও মুজাহিদুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষার্থীর টাকা, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অপরাধে রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মিজানুর রহমান ফকিরকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বছর ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শহরে ও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় উস্কানিতে প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ইমরান নাজির ইমন ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের জিয়াউল হক মজুমদারকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অর্থনীতি বিভাগের এমদাদুল হক ও সাংবাদিকতা বিভাগের ফাহিম হাসানকে মারধর ও জোরপূর্বক হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনায় লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের দীপায়ন দেব ও সাব্বিরুল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই সেশনের অর্ণব বড়ুয়া ও আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের জোবায়ের আহমদকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রবিউল ও নুসরাত জাহানকে মারধর ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের সাব্বির হোসেনকে ১ বছর ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মামুনুর রশিদকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

পাশাপাশি জঙ্গি সম্পৃক্ততার দায়ে গতবছর বহিষ্কৃত হওয়া হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী আসফার হোসেনের বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে।

প্রক্টর আরও বলেন, গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বহিষ্কারাদেশ গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে। বহিষ্কৃতরা ক্যাম্পাস ও হলে অবস্থানসহ কোন একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,শিক্ষার্থী বহিষ্কার,ছাত্রত্ব বাতিল,চবি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close