রিয়াজ মুন্না, চবি প্রতিনিধি

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

৫৩ তে পদার্পণ করলো চবি

৫৩ বছরে পা দিল সবুজ ও পাহাড়বেষ্টিত শাটলের ক্যাম্পাস হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। রোববার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে কেক কেটে আলোচনা সভা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য ও ফটোগ্রাফি) ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরী।

তিনি বলেন, আজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঐতিহাসিক দিন। আভ্যন্তরীন পরীক্ষা থাকায় দিনটি উপলক্ষ্যে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যকে অগ্রগামী করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধির পথে হেঁটে আজকে এতদূর। পথচলার এই বায়ান্ন বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করেছে বিশ্বের বুকে এক গৌরবময় অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় রাখছেন অনন্য অবদান।

শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করেছি। দেশের দুর্নীতিকে কমিয়ে সততার অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের প্রশংসাও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. কে এম রাশেদুন্নবী, সিনেট সদস্য হিসেবে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ বি এম আবু নোমান, সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ, প্রভোস্ট হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. বশির আহমদ, বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জঙ্গল-পট্টি মৌজার জোবরা গ্রামে ২১০০ একর ভূমির সুবিশাল জায়গার উপর স্হাপিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়। ৪ টি বিভাগ ৮ জন শিক্ষক ও ২০৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৪৬ টি বিভাগ, ৮৬৯ জন শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের সর্ববৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চবি,৫৩,প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close