ঢাবি প্রতিনিধি

  ০১ নভেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার যৌক্তিকতা উপস্থাপন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সেলিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব তাদের জনগণকে জন শক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমারেখা নির্দিষ্ট করে রাখেনি। পার্শ্ববর্তী দেশসহ উন্নত দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্ট নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটি হবে জনমুখী।

এসময় তিনি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে নয়টি যুক্তি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ১. প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম বয়স ৬ বছর করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে একজন ছাত্র ৪/৫ বছরে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়ে ১৪/১৫ বছরে এস.এস.সি পাশ করতে পারতো, এখন সেটা ১৬ বছরের আগে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। ২. স্নাতক ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে লেখাপড়ার সময় এক বছর করে বাড়িয়ে যথাক্রমে তিন ও চার বছর করা হয়েছে। ৩. চিকিৎসকদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা হয়েছে, কারণ তাদের সাধারণের চেয়ে এক বছর বেশি অর্থাৎ ৪ বছর অধ্যায়ন করতে হয়। পরবর্তীতে সাধারণদের স্মাতক ও সম্মান উভয় পর্যায়ে সময় এক বছর বৃদ্ধি করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আনুপাতিক হারে বাড়ানো হয়নি। ৪. এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এবং ডিগ্রী ও মাস্টার্সের রেজাল্ট বের হওয়ার মধ্যবর্তী সময় নষ্ট হয় সব মিলিয়ে প্রায় দুই বছর। ৫. প্রচলিত নিয়মানুসারে ২৩ বছর বয়সে শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধু কাগজে কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ৬. যথাসময়ে লেখাপড়া শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণ দুই থেকে তিন বছর সেশনজট। ৭. রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রতিটি ছাত্রের জীবন থেকে যে সময় নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ করতে। ৮. বিপিএসসি’র যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে না পারা (২৭ থেকে ২৮ তম বিসিএস পরীক্ষার গ্যাপ ছিল ৩ বছর) এবং ৯. সরকারি চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র পরিষদ ও জনতা মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং শনিবার সকাল ১০টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদে সভাপতি মো. আল আমিন রাজু, সিনিয়র সহ সভাপতি ইউছুব ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক ফাতেমা মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেহজাদ আমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাকরি,বয়সসীমা,যৌক্তিকতা,উপস্থাপন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close