নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ০১ নভেম্বর, ২০১৮

১০ দফা দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন

ফাইনাল পরীক্ষার খাতা কেটে (ব্যাকলগ) পরীক্ষা বর্জন করল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় আইসিই বিভাগের চলতি ৪টি ব্যাচের (১০-১৩) সকল শিক্ষার্থীরা খাতা কেটে পরীক্ষা না দিয়ে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে তারা একই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আশিকুর রহমান খানের অব্যাহতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থান নেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের অব্যাহতি চেয়ে দশ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এস এম নজরুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবি হলোঃ

১. ব্যাপক অনিয়ম ও অযোগ্যতার কারণে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজে অচলাবস্থা। ২. LICT, একটি গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট, যেটার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান এর অনিহা প্রকাশ। ৩. ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে কোনও প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়না। ৪. সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব থাকা স্বত্ত্বেও জোরপূর্বক ক্লাস এবং ক্লাস টেস্ট নেওয়া হয়। ৫. অফিস স্টাফ থেকে শুরু করে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। ৬. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী প্রতিযোগীদের ক্লাস টেস্ট বা ক্লাসের অনুপস্থিতির জন্য কোনো ছাড় দেয়া হয়না। ৭. জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী প্রতিযোগীদের ন্যায্য কোনো আর্থিক সহযোগিতা করা হয়না। বরং নিরুৎসাহিত করা হয়। ৮. ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের সময় কোনো প্রকার দাপ্তরিক ও আর্থিক সহযোগিতা করা হয়না। ৯. চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি ক্লাব গঠন ও উদ্বোধন করায় আয়োজনকারীদের অপদস্ত করা হয়েছে। ১০. টেকনোলজিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হওয়া স্বত্ত্বেও কোনো ওয়াই-ফাই সুবিধা প্রদান করা হয়নি। ল্যাবরুম থাকা স্বত্ত্বেও যথাযথভাবে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি।

আন্দোলনের বিষয়ে প্রক্টর ড. এস এম নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছ। আমরা তাদের কাছে রোববার পর্যন্ত সময় নিয়েছি।’

প্রশাসনের আশ্বাসের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কাছ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। ততদিন আইসিই বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। ৫ তারিখের পর প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে সর্বসম্মতিক্রমে আমরা আবার দাবি আদায়ে মাঠে নামবো। প্রয়োজন পড়লে অনশন করবো।’

এদিকে অভিযুক্ত বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. আশিকুর রহমান খান জানান, শিক্ষার্থীরা না চাইলে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে আসবেন।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
১০ দফা,দাবি,নোবিপ্রবি,পরীক্ষা বর্জন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close