ইবি প্রতিনিধি

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য

ইবির ৩ শিক্ষককে দুদুকের বিচারের নির্দেশ

শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিন শিক্ষকের বিচারের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তদন্তপূর্বক বিচার করে দুদককে অবহতি করতে বলা হয়েছে।

দুদকের উপ পরিচালক (অনু ও তদন্ত-১) এবং যাচাই বাচাই কমিটি-৩ এর সদস্য মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

তিনি জানান, ‘আমরা দুদকের চিঠি পেয়েঠি গত পরশু (মঙ্গলবার)। বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং বিচারের অগ্রগতি জানিয়ে চিঠির জবাবও পাঠানো হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের ৯ তারিখ দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার (স্মারক নং- ৮৯১) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কাছে চিঠি পাঠায় দুদক। মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জাড়িতদের আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়।

চিঠিতে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল এবং ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেনের নাম উল্লেখ করেছে দুদক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে এ চিঠি প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্য দুদককে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের কথোপকথন ফাঁস হয় সংবাদ মাধ্যমে। ওইদিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে প্রশাসনিক পদ থেকে বরখাস্ত করে প্রশাসন। একইসাথে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ শেষে গত ১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২তম সিন্ডিকেটে ড. শাহাদৎ হোসেন এবং ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে পনের কার্যদিবসের মধ্য কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এখনো পর্যন্ত তারা এ ব্যাপারে কারণ দর্শায়নি বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।

এ দিকে নিয়োগ বাণিজ্যের ওই অডিওতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের নামও ওঠে। তবে তদন্ত কমিটি নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে তার সম্পৃক্ততা পায়নি বলে জানায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ইতোমধ্যে চিঠির প্রাথমিক উত্তর দিয়েছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্য আমরা অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনে তাদের চিঠির জবাব দিতে পারবো।’

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইবি,শিক্ষক,দুদুক,বিচার,নির্দেশ,নিয়োগ বাণিজ্য
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close