ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে আবারও মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ মানবন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ১টার দিকে আন্দোলন শেষ হয়।

জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক স্লোগান দিতে থাকে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হন। পরে দুপুর ১টার দিকে পরবর্তী দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ওই দিনের মত আন্দোলন সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ১৬ অক্টোবর একই দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। ওইদিন মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবি না মেনে নেয় তাহলে ২৩ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমাদের উপর টাকার বোঝা চাপিয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করার পায়তারা করছে। এক বছরের ব্যবধানে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন ফি তিনগুন বাড়িয়ে দেয়ায় মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়, ততক্ষন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় হচ্ছেনা। এক বছর পরে হঠাৎ কেনো এ আন্দোলনের উদয় হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গত শিক্ষাবর্ষ (২০১৭-১৮) থেকে সেশন চার্জ, হল চার্জ, সেমিস্টার পরীক্ষায় ফি বৃদ্ধি এবং পরিবহন খাতে তিনগুন ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছে।

পিডিএসও/অপূর্ব