ঢাবি প্রতিনিধি

  ২০ অক্টোবর, ২০১৮

‘শ্মশান বাংলা থেকে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু’

মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধ পরবর্তী দেশ, দেশের মানুষ ও বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, শ্মশান বাংলাকে সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন যে বাংলায় আগামী দিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে।

শনিবার সকালে বাংলা একাডেমিতে তার লেখা চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলো মূলত সমসাময়িক বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে লেখা। বই চারটিই আলোঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রোজা চৌধুরী।

‘শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম’, ‘From Ashes to Prosperity’, ‘প্রান্তজনের স্বপক্ষে’ ও ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’ বইগুলোর ওপর আলোচনা করেন যথাক্রমে সেলিনা হোসেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, মাহফুজুর রহমান ও তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।

‘শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম’ বইয়ের ভূমিকাতে অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ লিখেছেন, ‘তার অসামন্যতা ছিল তার আত্মপরিচয়ের অহংকারে; তিনি যে কৃষকের সন্তান তা নিজে কখনো ভোলেননি এবং কাউকে ভুলতে দেননি তো বটেই এমনকি কৃষককে ভোলা চলবে না বাংলার মানুষেরও, এই দাবি ও স্বীকৃতি আদায়ে অনঢ় ছিলেন তিনি।’

বঙ্গবন্ধুর জীবন, বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি হিসেবে তার বেড়ে ওঠা, সংগ্রামী জীবনে বারে বারে কারাবরণ, ৭ মার্চে তার মুক্তির ডাক, অসহযোগ আন্দোলন, স্বাধীনতার ঘোষণা, অর্থনৈতিক মুক্তিচিন্তা, পররাষ্ট্রনীতি, কৃষকপ্রীতি, শিল্প ও সংস্কৃতি ভাবনা, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজ নামচা’, গুণীজনের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করে এই বলে উপসংহার টেনেছি যে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ: নিরবিচ্ছিন্ন এক ইতিহাস৷ বইটি বাংলাদেশের সংগ্রামী কৃষকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে।

‘From Ashes to Prosperity’ বইটিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের বিস্ময়কর পরিবর্তনের গতি-প্রকৃতি উঠে এসেছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, টেকসই উন্নয়নের ধারা, মানব পুঁজি, উন্নয়নমুখী কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ‘কানেকটিভিটি’ প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে অর্থনীতির শিক্ষকদের শিক্ষক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর নুরু প্রস্পেরিত্য।

তৃতীয় বই ‘প্রান্তজনের স্বপক্ষে’ বইটিতে উন্নয়নের নানা রকমের ম্যাক্রো অর্থনীতির অভাবনীয় রূপান্তর, টেকসই উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সৃজনশীল ভূমিকা, অর্থনীতির সবুজায়ন, মানব উন্নয়ন ও নেতৃত্বের বিকাশ, এশীয় আর্থিক সংকট, আঞ্চলিক সংযোগ, সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ সাধারণ মানুষের কল্যাণধর্মী উন্নয়ন অভিজ্ঞতার নানা দিক নিয়ে আলাপ আলোচনা। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বন্ধুবর শিক্ষক, সাহিত্যিক ও সমাজ সচেতক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে।

সবশেষ বই ছিল ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’। সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে বইটি লেখা। চারটি বই যথাক্রমে উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলাদেশের কৃষকদের, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও দুষ্টুকে।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শ্মশান,বাংলা,সোনার বাংলা,বঙ্গবন্ধু
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close