এ আর রাশেদ, ইবি প্রতিনিধি
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত
‘ইবি প্রাইভেট, না পাবলিক?’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২য় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে তারা ‘ইবি প্রাইভেট, না পাবলিক?’, ‘শিক্ষা নিয়ে কোনও বাণিজ্য চলবে না’ ইত্যাদি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে দাড়িয়ে থাকে।
মানববন্ধনের আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের ভেতরে মিছিল করে বলে জানা গেছে।
এর আগে সোমবার থেকে বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার আন্দোলনের ২য় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন ফি’র মূল্য বৃদ্ধি, গত শিক্ষাবর্ষ (২০১৭-১৮) থেকে ভর্তি ফি বৃদ্ধি, হল বাবদ ফি বৃদ্ধি, সেমিস্টার ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচির আলোকে ২য় দিন মঙ্গলবার বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ঘুরে একই স্থানে গিয়ে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষাথীরা অবিলম্বে বর্ধিত সকল ফি কমানোর জোর দাবি জানান। এসময় আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দেন। এর মধ্যে বর্ধিত ফি না কমানো হলে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘আমরা সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফি প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে টানা আন্দোলনে নামে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ তাদের আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি ফি বৃদ্ধি করে। যেটি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যানেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভর্তি ফি এক বছর আগে বাড়ানো হয়েছে এবং এটি সিন্ডিকেটে পাশ হয়েছে।’
পিডিএসও/অপূর্ব