ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৮

‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস

পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি অনশনে বসেন। তিনি ২০১৫-২০১৬ সেশনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৪ তম হয়েছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনি আহম্মদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ একটি বই পড়ছেন, তার পাশে একটি ছাতা, একটি ব্যাগ, পায়ের নিচে একটি গামছা, পিছনে কিছু প্রতিবাদী লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড রয়েছে। তাতে লেখা ‘যদি পরীক্ষা শুরুর ১ মিনিট আগেও প্রশ্ন পাওয়া যায়, তবুও সেটা প্রশ্নফাঁস’, ‘প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা চাই’,‘ জালিয়াতদের বহিষ্কার চাই’, ‘হোতাদের বিচার চাই’, ‘অনশন’,‘প্রশ্নফাঁস? না, মেধাবীদের গলায় ফাঁস এ দায় নেবে কে?’

আখতার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে এখানে বসেছি। যে প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেটা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে আপনারা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করাবেন, এটা আমি মেনে নিতে পারিনা। বিশেষ করে আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, আমি বিবেকের জায়গা থেকে বলবো পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে প্রকৃত মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করা হোক। আগে যারা প্রশ্নফাঁস করে ভর্তি হয়েছে, তাদের বহিষ্কার করতে হবে। এসময় তিনি তিনটি দাবির কথা জানান। তার দাবিগুলো হলো- ১. প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা দিতে হবে, ২. এ পর্যন্ত যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে, তাদের সবাইকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে, ৩. প্রশ্নফাঁসের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ। আমরা আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। কে, কী দাবি করছে তা তাদের একান্ত ব্যাপার।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া ৭২ টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। যার প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তবে, এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

পিডিএসও/এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রশ্নফাঁস,পরীক্ষা,বাতিল,ঢাবি,শিক্ষার্থী,আমরণ অনশন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close