ঢাবি প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালিত

‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস নয়’

১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনারোধ সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনো আপস করা হবে না। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস’ স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, প্রাক্তন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অজয় কুমার দাস, শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. তাপস দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর, দুর্ঘটনায় আহত তৎকালীন ছাত্র প্রবীর কুমার সরকারসহ মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ডারের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ সেদিন হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের চেতনা ছিল এক ও অভিন্ন।

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা হয়। বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সকল হল মসজিদে মোনাজাত করা হয়। সকালে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন এবং রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ধ্যায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে কবিতা আবৃত্তি, ভক্তিমূলক গান ও শোক সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অক্টোবর মাসজুড়ে ‘অক্টোবর স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতা’ ও ‘অক্টোবর স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ হবে।

এর আগে, দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকালে সকল হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র‌্যালি সহকারে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,শোক দিবস,মো. আখতারুজ্জামান,উপাচার্য
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close