ইবি প্রতিনিধি
ইবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে ইংরেজি বিভাগ ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মধ্যে খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইংরেজি বিভাগের সাথে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় উভয়পক্ষ গোলশূণ্য হাওয়ায় খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। এসময় সামনে পিছনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেভিয়ার জেবি, একই বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহিম স্বপ্ন, ইমতিয়াজ ও দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইমরানে সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তৌহিদের বন্ধুর। এসময় তৌহিদ প্রতিবাদ করলে তারা তৌহিদকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা তৌহিদকে কিল ঘুসি মারতে থাকলে সে আহত হয়। এরপর তৌহিদের সহপাঠিরা তাকে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর শহীদ জিয়াউর রহমান হলের গেট বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলেয় রানা হালিম গ্রুপের কর্মী শাহজালাল সোহাগ, তুষার, বিপুল। পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান গিয়ে তাদের সাথে কথা বললে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে মারামারির বিষয়ে আহত তৌহিদুর রহমান সাথে কথা বললে সে জানায়, ‘তারা আমাকে বিনা কারণে মেরেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু বলেন, ‘বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করে উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ চেয়েছেন। শনিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে উপাচার্যের কাছে যাওয়া হবে।’এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘খেলার মাঠে সবাইকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয় না। কিছু অঘটন ঘটে যায়। তারপও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
পিডিএসও/এআই