ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ৫৭ ধারার মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাতে হাটহাজারি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম। এতে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে বিলুপ্ত কমিটির উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার ও সাবেক উপ-সাহিত্য সম্পাদক ইমাম উদ্দিন পারভেজ ফয়সালকে।

মামলাটি যাচাই বাছাই শেষে সোমবার গভীর রাতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

গত ৬ আগস্ট বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এরপর তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবি দুলাল লাল ভোমিক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, হাইকোর্টের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে আজ সকালে মাইদুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন এর আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার আহ্বান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে এই দুই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবি জানিয়ে ও দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ববরাবরে একটি স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসছাড়া করতেও আন্দোলন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের হুমকিতে একপর্যায়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান ওই শিক্ষক।

পিডিএসও/এআই